একবালপুরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার চার দিনের মাথায়, শেখ সাজিদ ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জুম বেগমকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন : শিয়ালদা ডিভিশনে বাড়ছে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা, আগামীকাল থেকে চলবে ৬১৩ টি লোকাল
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয় তরুণীকে। প্রসঙ্গত, একবালপুরে এমএম আলী রোডে সিমেন্টের বস্তা থেকে নয়নার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। খুন করার পর, কে বা কারা বস্তাবন্দি দেহ ফুটপাথে ফেলে গেল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু এলাকার সিসিটিভি খারাপ থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় তদন্তকারীদের। পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল খুনের সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িয়ে আছে। এরপরেই সাজিদ ও ইমরান নামে দুই যুবককে ধরে জেরা করতেই, সাজিদ জেরায় খুনের কথা শিকার করে।

শুধু তাই নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত যুবতী সাবা খাতুনের ফোন ঘেঁটে শেখ সাজিদ ওরফে রোহিতের নাম পায় পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শেখ সাজিদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সাবা। অভিযোগ, এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে রোহিতকে ব্ল্যাকমেইল করত সাবা। স্বামীর ‘পরকীয়া’র কথা জেনে ফেলেছিলেন শেখ সাজিদের স্ত্রী অঞ্জুম বেগম। এরপরই সাবাকে খুনের ছক কষে স্বামী-স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে সেই কথা স্বীকার করেছে দুই ধৃত।
আরও পড়ুন : একবালপুরে তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য! ঘটনাস্থলে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা
যদিও সাবার পরিবারের লোকজনের দাবি, রোহিতের সঙ্গে সাবার কোনও সম্পর্ক ছিল না। ওরা শুধুমাত্র বন্ধু ছিল। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে একবালপুর থানার এমএম আলি রোডের উপর বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় ২২ বছরের সাবা খাতুনের দেহ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দিনের বেশিরভাগ সময়ই নেশাগ্রস্থ থাকত ২২ বছরের ওই যুবতী। এমনকি পরিবারের তরফে তাকে মাস ছয়েক নেশামুক্তি কেন্দ্রেও রাখা হয়েছিল।




































































































































