সংস্কৃতি জগতের ২৭ দিকপালকে সরকারি আস্তানা ছাড়ার নির্দেশ কেন্দ্রের

0
1

সংস্কৃতি জগতের ২৭ জন দিকপাল শিল্পীকে অবিলম্বে রাজধানী দিল্লির সরকারি আস্তানা ছাড়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই তালিকায় রয়েছেন প্রখ্যাত কত্থকশিল্পী, চিত্রশিল্পী, সন্তুরবাদক, মোহিনীঅট্টম শিল্পী সহ একাধিক ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা। কেন্দ্রের নোটিসে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে।

আরও পড়ুন : মাস্ক না পরলে দিতে হবে ২০০০ টাকা জরিমানা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘এমিনেন্ট আর্টিস্ট’ কোটায় প্রবাদপ্রতিম শিল্পীরা দিল্লির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মাসে মাসে সামান্য ‘লাইসেন্স ফি’-এর বিনিময়ে থাকার বাড়ি পেতেন৷ পূর্বতন কংগ্রেস জমানা থেকেই এই বন্দোবস্ত চালু ছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, এই শিল্পীদের বাড়িতে থাকার মেয়াদ শেষ এবং নতুন করে ‘এক্সটেনশন’ বা মেয়াদবৃদ্ধি হবে না।

নোটিসের কাগজে স্পষ্ট লেখা, ‘এক্সটেনশন সম্ভব নয় ৷ তাই বাড়ি ছাড়ুন !’ হঠাৎ এরকম নোটিস পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ৮৩ বছরের প্রবাদপ্রতিম কত্থক শিল্পী বিরজু মহারাজ, চিত্রশিল্পী যতীন দাশ সহ অনেকেই। মোট ২৭ জন বিশিষ্ট শিল্পীকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই তালিকায় রয়েছে সন্তুরবাদক ভজন সোপারি, মোহিনীঅট্টম শিল্পী ভারতী শিবাজীর মত নাম। নোটিস হাতে পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন বিরজু মহারাজ। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বিরজু মহারাজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অসুবিধার কথা জানিয়েছি৷ আশা করি তিনি সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আরও পড়ুন : সংক্রমণ বাড়ছে, আজ থেকে তিনদিনের কার্ফু আমেদাবাদে

অন্যদিকে চিত্রশিল্পী যতীন দাশ বলেন, আমার এটি ছাড়া অন্য কোনও বাড়ি নেই৷ এখন হঠাৎ করে যাব কোথায়? এতদিন ধরে এখানে আছি৷ এখন করোনা আবহে আমাদের বিপদে ফেলে দেওয়া হল। কুচিপুরি নৃত্যশিল্পী বনশ্রী রাও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নোটিসের বক্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আমরা যেন বাড়ি দখল করে আছি। অথচ ২০১৪ সালে সরকারের পক্ষ থেকে পুরনো বকেয়া হিসেবে গত চার বছরের জন্য ৯ লাখ টাকা চাওয়া হয়। কয়েক দফায় তা মিটিয়েও দিয়েছি। তারপরেও এরকম নোটিস আসার অর্থ কী?