কাশ্মীর ইস্যুতে তৎপর, ভারতকে কোণঠাসা করতে বাইডেনকে পাশে চান ইমরান

0
1

ট্রাম্প সরকারের পতন ঘটেছে আমেরিকায়। আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসের মসনদে বসতে চলেছেন জো বাইডেন। ফলস্বরূপ কূটনৈতিক স্তরে বাইডেনকে পাশে পেতে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের অন্যতম হাতিয়ার জম্মু কাশ্মীর। নয়াদিল্লির আশঙ্কা আগামীতে পাক উপত্যাকায় সন্ত্রাস আরও বাড়তে পারে।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে জো বাইডেন মসনদে বসতে চলেছেন এ তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই টুইট করে বাইরে থেকে অভিনন্দন জানান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নিজের অভিনন্দন বার্তায় ইমরান দেখেন, ‘আফগানিস্তান ও পুরো অঞ্চলে শান্তির জন্য আমেরিকার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী পাকিস্তান।’ ইমরানের এই টুইটের পরই সন্দেহ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের। কূটনৈতিক শিবিরের অনুমান আগামী কয়েক মাসে পাকিস্তানের লক্ষ্য ভারতের গণতন্ত্র সম্পর্কে আমেরিকার উদারপন্থী অংশের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করা। ক্ষমতায় আসার অনেক আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের মানবাধিকার লংঘন, এনআরসি, সিএএ-এর মত ইস্যুতে ভারত সরকারের বিরোধিতা করেছে আমেরিকা ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক দল। এই বিরোধিতায় পূর্ণ মদদ ছিল পাকিস্তানের। ফলস্বরূপ ডেমোক্র্যাটদের ক্ষমতায়নের পর কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তান যে ব্যাপকভাবে তৎপর হয়ে উঠবে তা অনুমান করাই যায়। তবে এখানে পাকিস্তান কি তাস খেলবে তার দিকে কড়া নজর রয়েছে সাউথ ব্লকের।

এদিকে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতায় বসার পর দেশের একাধিক ইস্যুতে প্রবল ব্যস্ত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা যা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে, সেখানে চারটি অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। কোভিড সঙ্কট, বর্ণবৈষম্য, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং পরিবেশ। ফলে অন্যান্য বিষয়ে তার নজর দেওয়ার অবকাশ থাকবে কম। আর ঠিক সেই সুযোগে উপত্যকার অন্দরে হিংসায় মদত জোগানো এবং সীমান্তে গোলাগুলি ব্যাপকভাবে জারি রাখতে উদ্যোগী ইমরান সরকার। যাতে চাপে পড়ে কাশ্মীর ইস্যুকে আলোচনার টেবিলে আনে ভারত। পাকিস্তানের এই কৌশল নতুন নয়, এর আগেও একাধিকবার এই পরিকল্পনা চালিয়ে গিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন:এবার ১০ দিনেই হবে মুক্তিযোদ্ধাদের জমির নামজারি

ইতিমধ্যেই উপত্যকার অন্দরে অশান্তির বীজ বপন করতে শুরু করে দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সীমান্তে জারি রয়েছে হিংসার আগুন। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণরেখায় ব্যাপক গুলীবর্ষণ করতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। যদিও মুখের মত তার জবাবও পেয়েছে তারা। এহেন অবস্থায় নয়াদিল্লির আশঙ্কা, বাইডেনের দক্ষিণ এশিয়া নীতি কোন পথে রয়েছে তা জানতে উপত্যকাকে আরও উত্তপ্ত করতে কোমর বেঁধে নামবে পাকিস্তান। তাদের লক্ষ্য হবে আমেরিকাকে এটা বোঝানো যে উপত্যকার অন্দরে মানবাধিকারকে গলা টিপে হত্যা করেছে ভারত সরকার।