“১৯-এ যা বলার বলবো”, শুভেন্দুর ‘মেগা-শো’ ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে

0
3

পূর্বঘোষণা অনুসারেই বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর নিজের জেলার রামনগরে মেগা শো করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ মূলত, সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে এই শো সম্পর্কযুক্ত হলেও রামনগরে এক কালীপুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেন্দু নিজেই জানিয়েছিলেন, “ওই সভায় অনেক সময় পাওয়া যাবে। তখন যা বলার বলব। বলার সুযোগও অনেক পাবো”।তাই রাজনৈতিক মহলে গভীর কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে শুভেন্দুর এই সমাবেশ ঘিরে। সেদিন জল্পনা বাড়িয়ে শুভেন্দু একথাও বলেছিলেন, “যা বলতে হয়, তা করতে নেই। যা করতে হয়, তা বলতে নেই।”

গত বেশ কয়েকদিন ধরেই অরাজনৈতিক মঞ্চে শুভেন্দু পর পর সভা করে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ এবার বৃহস্পতিবারের সমাবেশে তিনি কোন বার্তা দেন, সেদিকেই নজর রাজ্যের সব দলের৷
আনুষ্ঠানিকভাবে দু’তরফের কেউই স্বীকার না করলেও সম্প্রতি দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দুর৷ তার মাঝেই অধিকারী বাড়িতে হাজির হয়ে বিষয়টির গুরুত্ব বাড়িয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু তাতে কোনও জটই আপাতত খোলেনি৷ ওদিকে, এত কিছুর পরেও শুভেন্দু- ইস্যুতে খানিকটা নরম সুর তৃণমূলের গলায়৷ দলের জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, “উনি আমাদের দলের নেতা। উনি রাজ্যের মন্ত্রী। উনি আমাদের সঙ্গেই আছেন।”

এদিকে, সংবাদমাধ্যমের খবর, জল মাপতে ইতিমধ্যেই শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলেছেন দলের দুই প্রবীণ সাংসদ। তৃণমূল সূত্রে খবর, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ এক মন্ত্রীও কথা বলেছেন শুভেন্দুর সঙ্গে৷ এই তিনজনের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে শুভেন্দু অনেক কথা বলেছেন৷ সেই বক্তব্য মমতা বন্দোপাধ্যায়কে জানানোও হয়েছে বলে খবর।
ওদিকে, শুভেন্দুর এই মেগা-শো যেখানে হবে, সেই রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি৷ গিরির সঙ্গে একদমই ভাল সম্পর্ক নয় অধিকারী পরিবারের। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে শুভেন্দুর সমাবেশ নিয়ে অখিল গিরি বলেছেন, “দলের তরফে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এই সময়ের মধ্যে উনি ওনার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট না করলে দল পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।”