যেন ফিল্মের চিত্রনাট্য! সাংকেতিক ভাষায় হত পাচার, জেরায় কবুল সতীশের

0
1

গরু পাচারকাণ্ডের তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে সিবিআইয়ের হাতে। যেন ফিল্মের চিত্রনাট্য! গরুর গায়ে কালির দাগ। আর তাই দেখে বোঝা যাবে কত টাকায় রফা হল। আর এইসব পরিকল্পনার মূল বিএসএফের কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। এই ঘটনায় ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

সিবিআই সূত্রে খবর,
• পাচারের আগে বিএসএফ কয়েকজন আধিকারিকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক হত গরু পাচারকারীদের।
• মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় এই বৈঠক হত।
• কোন সময় পাচার হবে তা বোঝানো হত সঙ্কেতের মাধ্যমে।
• নীচুতলার কর্মীদের সেই সব সংকেত বুঝিয়ে দিতেন সতীশ কুমার।
• পাচারের সময় গরুর গায়ে কালি দিয়ে চিহ্নিত করে বোঝানো হত কত টাকায় রফা হয়েছে।
• একটি জার্সি গরু পাচারে ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা রফা হত।

ধৃত সতীশের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। অভিযোগ, বেআইনি অর্থ স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করতেন সতীশ কুমার। কিছু টাকা বিনিয়োগ করতেন রিয়েল এস্টেটও।

মঙ্গলবার, নিজাম প্যালেসে ৭ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। গরু পাচারের অভিযোগে দায়ের করা এফআইআর-এ তাঁর নামই রয়েছে সবার প্রথমে।

২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদে কর্মরত থাকার সময় গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল শেখের সঙ্গে যোগ ছিল সতীশ কুমারের। সম্প্রতি তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরে সিল করে দেয় সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে খবর, একাধিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিলেন ওই বিএসএফ আধিকারিক। তদন্তে সহযোগিতা না করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে বুধবার আসানসোলে সিবিআই আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন:অসুস্থ বিনয় তামাং, পাহাড় থেকে পাঠানো হল শিলিগুড়ি