‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ ভেজাল খাবার ধরতে ‘মোবাইল ভ্যান ল্যাবরেটরি’ নিয়ে আসছে। এসব ভ্যান ল্যাবরেটরি সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় টহল দেবে। তবে, অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে যাবে। তাৎক্ষণিকভাবেই পরীক্ষায় খাবারে ভেজাল পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে।

প্রকল্পের আওতায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার(ফাউ) অনুদানে সারাদেশে ৩০টি ‘মোবাইল ভ্যান ল্যাবরেটরি’ কিনবে সরকার। মোট খরচ হবে ১৫ কোটি টাকা। ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ চলতি বছর এই উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এই প্রকল্পে থাকবে মিনি ল্যাবরেটরি ও কেমিক্যাল স্টোর।
পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা, কর্মচারী, অংশীজন ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রধান কার্যালয়ে ডাটাবেস তৈরির মাধ্যমে সারাদেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রেস্তোরাঁ ও বাজারের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ ও নজরদারি করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়।জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসসহ এই ধরনের অন্যান্য দিবসে র্যানলি, টিভি ক্লিপ, ভিডিও প্রচারণার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনা বাড়ানো হবে। এছাড়া থাকবে ডিজিটাল ডাটা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম। সফটওয়্যার, অনলাইন ব্যবস্থা ও সার্ভিলেন্সের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে। এতে থাকবে ডিজিটাল সার্ভার ও নেটওয়ার্ক।

এসব কাজ বাস্তবায়নে বসানো হবে ৪৯৭ বিলবোর্ড। ৯ হাজার ৮৪০ জনকে ৩৮৭ ব্যাচে স্থানীয়, মোটিভেশনাল ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবে সরকার। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘তাৎক্ষণিক ভেজাল খাবারের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পরীক্ষা করে রেজাল্ট দেওয়ার জন্য এমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই মোবাইল ভ্যান ল্যাবরেটরিস ফোর্স ভেজাল খাবারের সন্ধান পেলে ঘটনাস্থলে চলে যাবে।’’ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন:বাসে আগুন লাগিয়েছে বিএনপির লোকেরাই, প্রমাণ আছে, সংসদে মন্তব্য শেখ হাসিনার

































































































































