
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
তিনি অভিনেতা। শিল্পী।
তিনি বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম প্রতীক।
তিনি চলচ্চিত্রে বহু ধরণের চরিত্রের সফল রূপায়ণকারী।
তিনি মঞ্চ ও নাট্যজগতের ধ্রুবতারা।
তিনি আবৃত্তিকার, পদ্য ও গদ্যকার।
তিনি এক রুচিবান প্রবহমান স্রোত।
এবং তিনি চিন্তাবিদ।
তিনি রাজনীতি সচেতন নাগরিক।
আমি বাংলার বামপন্থীদের বিরুদ্ধমঞ্চের হতে পারি, কিন্তু আজ এটা বলতেই হবে, সৌমিত্রবাবু এই বামপন্থার সমর্থক এবং কী আশ্চর্য, ২০১১ সালের পরেও তিনি বদলাননি।
এখানেই মানুষটার প্রতি আমার বাড়তি শ্রদ্ধা এবং প্রণাম।
ঠিক এ সংক্রান্ত বিষয়ে ওই সময়টা তাঁর একটি বক্তব্যকে ঘিরে আমার একটি কড়া লেখা প্রকাশিত হয়। সেই সূত্রে তাঁর ফোন এবং কিছু কথা। কানে বাজছে এখনও। এই মুহূর্তে লেখার মুড নেই। পরে হবে।
কিন্তু, তাঁর অপরিবর্তনশীলতা শ্রদ্ধা করার মত। এই বারের “গণশক্তি” শারদ সংখ্যাতেও তিনি বামপন্থার প্রতি আস্থাশীল।
আমি বামপন্থী নই, কিন্তু এই কারণটির জন্য মানুষটার প্রতি বাড়তি শ্রদ্ধা।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা এবং আজ শেষকৃত্যের ব্যবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ।
বিভিন্ন চ্যানেল ও ডিজিটাল মাধ্যমে সৌমিত্রবাবুকে নিয়ে কভারেজ দেখছি।
হ্যাঁ, তিনি শিল্পী। তিনি নিজেই একটি যুগ।
কিন্তু তাঁর নাগরিকসত্তা, রাজনৈতিক বোধ এবং আজকের যুগেও না পাল্টে যাওয়ার উল্লেখটুকু সকলের স্মৃতিচারণে থাকুক।
না হলে মানুষটাকে শ্রদ্ধা জানানো সম্পূর্ণ হবে না।
সৌমিত্রবাবু, প্রণাম।
আরও পড়ুন- চলচ্চিত্র জগৎ চিরকাল তাঁর ঋণ স্বীকার করবে: বুদ্ধদেব
 
 
 



























































































































