কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু বক্তব্যের ভাষায় স্পষ্ট হয়েছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তির শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেই৷
বৃহস্পতিবার চাঁপদানি বিধানসভা কেন্দ্রের এক দলীয় সভায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কারও নাম উল্লেখ না করে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন,”বিজেপি, কংগ্ৰেস, সিপিএম,যেখানে খুশি যা। ক’টা পেট্রোল পাম্প করেছিস, ৪ টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পুরসভার কাছে আলু বিক্রি করতিস।”
কারো নাম উল্লেখ না করলেও রাজনৈতিক মহল বলছে,কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় স্পষ্ট, তাঁর নিশানায় শুভেন্দু অধিকারীই৷
ওদিকে এদিনই ঘাটালের এক সভায় শুভেন্দুও নাম না করে তৃণমূলকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, ”দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।” এরপরই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই খোঁচা৷
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেও সাংসদ কল্যাণ বলেছিলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই নন্দীগ্রামে আন্দোলন হয়েছিল। আজকে অনেকে বড় হয়ে যেতে পারেন, কিন্তু তিনি বড় হলেন কার ছায়ায়, সেটা ভুললে চলবে না৷ মনে রাখাটাই বড় ব্যাপার।”
ফের বৃহস্পতিবার আরও তীক্ষ্ণভাষায় নাম না নিয়ে সেই শুভেন্দুকেই নিশানা করেছেন সাংসদ। তিনি বলেছেন, ”হিসাব আমরা বুঝে নেব। চলে যা বিজেপিতে। কোনও অসুবিধা নেই। যাবি কংগ্রেসে, চলে যা। তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। সিপিএমে যাবি, চলে যা। তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। আর দাদার অনুগামীরা দাদার সঙ্গেই চলে যা। তৃণমূল কংগ্রেস করে বেইমানি করলে বাড়ি ঢুকতে দেব না।” হুঁশিয়ারির সুরে কল্যাণ এদিন বলেছেন, “দেখি কত বড় হয়েছিস ! দেখতে চাই কত হিম্মত রয়েছে! বাংলার মাটিতে এবার এটা দেখতে চাই, কোন দাদার কত অনুগামী হয়েছে ? লড়াই করতে এসেছি। লড়ে যাব। লড়াইয়ের ময়দানে এক ইঞ্চিও ছাড়ব না। বেইমানদের আগামী দিনে বুঝিয়ে দেব।”
আর এরপরই কল্যাণ কারও নাম মুখে না এনে বলেছেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কতগুলো পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পুরসভার সামনে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।”
আরও পড়ুন- IPL খেলে সোনা-দানা নিয়ে ফিরছিলেন, মুম্বই বিমানবন্দরে আটক ক্রুনাল পান্ডিয়া