গার্ড অফ অনার থেকে উপাচার্যদের অনুপস্থিতি- ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

0
1

একই তাঁকে দেওয়া হয়নি গার্ড অফ অনার, তার উপর দেখা করেননি উপাচার্যরা- সব মিলিয়ে রাগে অগ্নিশর্মা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবার কোচবিহার পৌঁছে কয়েকটি কর্মসূচির পর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জগদীপ ধনকড়। সেখানেও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ৯ নভেম্বর উত্তরবঙ্গের মোট পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা নিজের টুইটার হ্যান্ডলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তবে সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন কোনও উপাচার্যই। এই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করেন ধনকড়। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানান তিনি।উপাচার্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। তবে, এর আগে ধনকড় উপাচার্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হলে বাংলার মানুষ ছেড়ে কথা বলবে না।

দার্জিলিংয়ের রাজভবন থেকেই আপাতত নিজের দায়িত্ব পালন করছেন জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে যান তিনি। তবে সেখানে গিয়ে উপযুক্ত মর্যাদা পাননি বলে অভিযোগ। পুলিশের তরফে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, এদিন প্রথমে পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তারপর সেখান থেকে মদনমোহন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। কোচবিহার রাজবাড়িও ঘুরে দেখার পর সার্কিট হাউসে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন ধনকড়। তবে কর্মসূচির মধ্যে নিয়মানুযায়ী তাঁকে গার্ড অব অনার না দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে এ প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেন তিনি। রাজ্য পুলিশ রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণাধীন বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। যদিও এই অভিযোগ নতুন নয়। আগেও পুলিশ এবং প্রশাসন রাজনৈতিক দলের নির্দেশে চলে বলে অভিযোগ করেছিলেন ধনকড়।

আরও পড়ুন- রাজনৈতিক মহলে তুমুল চাঞ্চল্য, মন বুঝতে শুভেন্দুর কাছে প্রশান্ত কিশোর