এ যেন তাজ্জব কাণ্ড! দেখলে চক্ষুচড়কগাছ হবে আপনারও। ধান আছে, অথচ তার ভেতরে চাল নেই। এও কি সম্ভব ? এ প্রশ্ন সবারই। কিন্তু বাস্তব সে কথাই বলছে।
হাজার হাজার টাকা দেনা করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করেছিলেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভাল ফলন হয়েছিল । কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন এমনটাই আশা করেছিলেন তারা৷
কিন্তু বিধাতা বুঝি মিটিমিটি হাসছিলেন । ভাল শিষ এলেও তার ভেতরে চাল না হওয়ায় মাথায় হাত পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কৃষকদের।
অথচ পূর্ব বর্ধমান জেলাকে রাজ্যের শস্য ভান্ডার বলা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে অধিকাংশ বাসিন্দা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। মন দিয়ে যত্ন নিয়ে ধান চাষ করেছিলেন অনেকেই। আবহাওয়া ভাল হওয়ায় ধানগাছ ভালই হয়েছিল। কিন্তু গাছ পরিপূর্ণ হয়ে ধান পাকতে শুরু করার পর দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ শিষে ধান নেই। ভেতরে চাল না থাকায় ধান আখরায় পরিণত হয়েছে।
এক একটি জমির ৯০ শতাংশ ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি কৃষকদের।
যদিও এর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।
ভাতারের অনেক বাসিন্দাই করোনা পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। সেই সব পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে কাজ হারিয়ে চাষে মন দিয়েছিলেন। মহাজনের কাছে চড়া সুদে ঋন নিয়ে চাষ করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু ধান না হওয়ায় এখন মাথায় হাত। অভিজ্ঞ কৃষকরা বলছেন, বীজের গোলমালের জন্যই এই অবস্থা বলেই মনে করা হচ্ছে। চড়া দাম দিয়েই উচ্চ ফলনশীল জাতের এই বীজ কিনে চাষ করা হয়েছিল। সেই বীজ যারাই ফেলেছিলেন তাদেরই এবার পথে বসতে হয়েছে৷ বিষয়টি কৃষি দফতরের স্থানীয় আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। এজন্য সরকারি ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
কৃষি দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কয়েকটি জায়গায় এবার এই রকম অভিযোগ এসেছে৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.