অতিমারির আঁধারে চন্দননগরের আলো

0
1

অতিমারি আবহে আলোর শহর চন্দননগরে এবার অন্ধকারের ছায়া। করোনার কোপ চন্দননগরের আলোক শিল্পে পড়েছিল অনেক আগেই। দুর্গাপুজোর সময় একের পর অনেক পুজো বাতিল অথবা ছোট হতে হতে, আলোক শিল্পের চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকছিল।

তবে চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন যে পুজোটিকে কেন্দ্র করে, তা হল সেখানকার জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজোতেই তাঁদের শ্রেষ্ঠ আলোর কারসাজি তুলে ধরে মণ্ডপ ও শোভাযাত্রায়। আর সেই আলো দেখেই আকৃষ্ট হন পুজো উদ্যোক্তারা। পরের বছর পুজোর জন্য বায়না শুরু হয়ে যায় এই পুজোর পর থেকেই। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় লকডাউন। চায়না থেকে সস্তার এলইডি আলোর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন আলো তৈরি করা অনেকটাই পিছিয়ে যায়।

আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে এখানকার শিল্পীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু দুর্গাপুজোয় সেই আশায় অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটেছিল কোর্টের অর্ডারে। আর সেখান থেকেই পুরোপুরি অন্ধকার নেমে এলো জগদ্ধাত্রী পুজোয়। বড় বড় পুজো যেগুলি হবে সাদামাটা ভাবেই। আলোর রোশনাইও থাকছে না এবার পুজোয়। তাই বলা যেতেই পারে, এই বছরের পুজোর শেষ আলোটিও নিভে গেল চন্দননগরে। যেকটি পুজো হচ্ছে, তাদেরকে মানতে হবে সরকারি নিয়ম, কোর্টের আদেশ।

আরও পড়ুন : বাংলা সাধকের ভূমি, এখানে তোষণের রাজনীতি উচিত নয়: দক্ষিণেশ্বরে মন্তব্য অমিতের

ভিড় যাতে না হয়, সেই বিষয়টিও লক্ষ্য রাখতে হবে সকলকে। এই পরিস্থিতিতে বাতিল হয়েছে আলোর ঝলকানি। শুধু মাত্র ঐতিহ্যের প্রতিমাই পুজো হবে মণ্ডপে মণ্ডপে। ফলে আশার আলো ফিকে হল চন্দননগরের আলোকচিত্রীদের।