উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা বিলি গুরুত্বপূর্ণ, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অশোক ভট্টাচার্যের

- কিশোর সাহা

0
1

উদ্বাস্তুদের বাস্তু জমির পাট্টা দেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন সিপিএমের শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো এক চিঠিতে অশোকবাবু লিখেছেন, উদ্বাস্তুদের বাস্তু জমির পাট্টার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে কয়েক লক্ষ উদ্বাস্তু, অ-উদ্বাস্তুকে বাস্তুজমির পাট্টা বিলি হয়েছিল। কিন্তু, চার দশক ধরে রাজ্য সরকারের ও রেলের জমিতে বসবাসকারী কয়েক লক্ষ পরিবার এখনও বাস্তুজমির পাট্টা পায়নি। শিলিগুড়ির ৬৪০টি পরিবারকে বাস্তুজমির পাট্টা দেওয়ার ব্যাপারে ১০ বছর আগে সিদ্ধান্ত হলেও তা কার্যকর হয়নি।

আরও পড়ুন : প্রভু এসেছিলেন, খেয়েওছিলেন, তবে অভাব ঘোচেনি হাওড়ার জগদীশের

এই প্রসঙ্গেই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। অশোকবাবুর ওই চিঠিতে মতুয়াদের উন্নয়ন পর্ষদ গঠের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে লিখেছেন, রাজ্যে এমন অনেক উন্নয়ন পর্ষদ, কালচারার বোর্ড বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে হয়েছে। সেই সব বোর্ড, পর্ষদকে পালা করে বহু কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেই টাকা ঠিকঠাক ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগও রয়েছে বলে অশোকবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

এরপরেই অশোকবাবু রাজ্যের জেলা গুলিতে বিধিবদ্ধ জেলা পরিকল্পনা কমিটি কেন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে সেই প্রশ্নে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, জেলা পরিকল্পনা কমিটিতে নির্বাতচিত জনপ্রতিনিধিরা দুই তৃতীয়াংশ থাকেন। বাকিরা মনোনীত হন। জেলার পরিকল্পনায় অগ্রাধিকর সহ নানা ব্যাপারে কমিটির সদস্যদের মতামত নিয়েই পুলিশ-প্রসাসনকে পদক্ষেপ করতে হয়। বাম আমলে সাধারণত, জেলা পরিকল্পনা কমিটির শীর্ষে মনোনীত হিসেবে সিপিএমের জেলা সম্পাদকরাই থাকতেন। তবে তৃণমূল জমানায় সেই কমিটির কার্যত কোনও অস্তিত্ব নেই বলে অশোকবাবু দাবি করেছেন।

দীর্ঘ চিঠির শেষে অশোক ভট্টাচার্য লিখেছেন, ভোট এলেই উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের যে ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে থাকে এবং এখনও হচ্ছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিপিআইএম নেতা।

আরও পড়ুন : মাস্টার স্ট্রোক মুখ্যমন্ত্রীর, রাজ্যে ৩৫ লক্ষ কাজের ঘোষণা

সূত্রের খবর, আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে পাহাড়ের গোর্খাল্যান্ডের দাবি, সমতলে কামতাপুর, গ্রেটার কোচবিহার ও আদিবাসীদের পৃথক স্বশাসিত উন্নয়ন বোর্ডের দাবির বিষয়টি নিয়ে অনেক রাজনৈতিক দলই গোপনে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তাতে এলাকায় অস্থিরতা আগামী দিনে বাড়তে পারে বলেই শঙ্কিত অশোকবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তা নজরে এনেছেন।