তপশিলি-রাজনীতি, ছবি তোলাতে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: কটাক্ষ অভিষেকের

0
6

রাজনীতির স্বার্থে তপশিলি সম্প্রদায়কে ব্যবহার করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুদিনের বাংলা সফরে এসে একদিন আদিবাসী পরিবার ও আরেকদিন উদ্বাস্তু পরিবারে অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজনকে এইভাবেই কটাক্ষ করে টুইট করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, রাজনৈতিক স্বার্থে তপশিলি সম্প্রদায়কে ব্যবহার করছেন অমিত শাহ। এই কারণেই তাঁদের বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারছেন। কিন্তু দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে সেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করছেন না। এরপরেই তীব্র কটাক্ষের সুরে তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, “মিস্টার হোম মিনিস্টার, আপনি কি শুধু ছবি তুলতে এখানে এসেছেন?”

এরআগেও ভোটের মুখে রাজ্যে এসে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন অমিত শাহ। কিন্তু অভিযোগ তারপরে বিজেপি আর সেই পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। শুধু তাই নয়, সেই পরিবারের গীতা মাহালিকে চাকরি দিয়েছে রাজ্য সরকারই। এই উদাহরণ টেনে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির বিরুদ্ধে ‘মধ্যাহ্নভোজন রাজনীতি’র অভিযোগ তুলেছে। ভোটের আগেই এঁদের কথা গেরুয়া শিবিরের মনে পড়ে বলে কটাক্ষ করেছে শাসকদল। এদিন টুইটারে একই অভিযোগ করলেন যুব সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, যেসব বাড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খেতে যাচ্ছেন সেখানে খাবার পরিবেশন করার থালা-বাসন তো বটেই, এমনকী রান্নার বাসনও নতুন। অর্থাৎ সেই বাড়ির কোনও বাসনপত্রে খাবার রান্না করা হচ্ছে না। তিনি তাতে খাচ্ছেন ও না। যে টুলের উপর অমিত শাহকে চতুর্ডিহির আদিবাসী পরিবারের খেতে দেওয়া হয়েছিল সেটা পর্যন্ত নতুন। অর্থাৎ আদিবাসী বা উদ্বাস্তু পরিবারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু সেই বাড়ির কোনো জিনিসে তিনি খাদ্য গ্রহণ করছেন না।

আরও পড়ুন:যত্ত সব ভুলভাল! ট্রাম্পের বক্তব্যের মাঝপথেই সম্প্রচার বন্ধ করল একাধিক চ্যানেল

একইসঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যেসব বাড়িতে তিনি খেতে যাচ্ছেন তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কুশল বিনিময়টুকুও করছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি তোলার স্বার্থেও পাশে দাঁড়াচ্ছেন না একবার। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এর থেকেই স্পষ্ট নিতান্ত রাজনৈতিক স্বার্থেই এই মধ্যাহ্নভোজের আসর। এর মধ্যে আন্তরিকতা কেন সামান্য সৌজন্যবোধটুকুও নেই।