প্রবীণ সাংবাদিক ও জীবনবাদী লেখক ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৮৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে জীবনবাদী দিবস পালন করা হলো মালদহে। বুধবার সাংবাদিক ও জীবনবাদী ফাউন্ডেশনের সদস্য রেজাউল করিমের আহ্বানে এই দিবস পালন করা হয়। কালিয়াচকের বনি চাইল্ড মিশনের মিনি ইন্ডোর কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক বিশিষ্টব্যক্তি।

উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন গৌড় কলেজের ছাত্রী কুয়াশা মুখার্জি । স্বাগত ভাষণ দেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “জীবনবাদী লেখক ড: পার্থ চট্টোপাধ্যায় শতাধিক গ্রন্থের প্রনেতা । বিশ্বের প্রায় ৩৫ টি দেশ সফর করেছেন। হতাশাকে দূরে সরিয়ে কীভাবে আলোর দিশা পান মানুষ জীবনবাদী বহু গ্রন্থ লেখনীর মাধ্যমে নিরলস চেষ্টা করছেন পার্থবাবু । ৫০ টির মতো জীবনবাদী বই লিখে দৃষ্টান্ত গড়েছেন । অবক্ষয় রুখতে মূল্যবোধের বিকাশের জন্য সদা জাগ্রত তিনি।” প্রবীণ সাংবাদিক ও জীবনবাদী লেখক ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন মালদহ সহ সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জীবনবাদী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ চার বছর ধরে মালদহে রেজাউল করিমের উদ্যোগে জীবনবাদী অনুষ্ঠান হচ্ছে। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি স্মরণিকা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে মালদহ জেলাপরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও জীবনবাদী মহান লেখক ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে জীবনবাদী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে একটি স্মরণিকা উদ্বোধন, বইয়ের প্রদর্শনী, আলোচনাসভা, সঙ্গীত সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণের জন্য উদ্যোগতাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বইয়ের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তিনি। পার্থবাবুর পাঠানো বার্তা পাঠ করে শোনান শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা তানিয়া রহমত।
উপস্থিত ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক ড: বিকাশ রায়, আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক তথা মালদার খবর সাময়িকী’র সম্পাদক এম আতাউল্লাহ, মালদহ সমাচার পত্রিকার সম্পাদক সঞ্জীবকুমার চক্রবর্তী, সাংবাদিক সৌম্য দে সরকার, বাবুল হক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আতিউর রহমান, শিক্ষারত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সাকিলুর রহমান, সমাজসেবী আবদুর রহমান, বনি চাইল্ড মিশনের চেয়ারম্যান শেখ জসীমউদ্দীন সহ অনেকে। এদিন বক্তারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লেখনী ও জীবন দর্শন ভাবনা ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন-বৈষ্ণোদেবী ভক্তদের জন্য সুখবর, বাড়ানো হলো দর্শনার্থীদের সংখ্যা



































































































































