প্রতিমার কাঠামো তুলতে গড়িমসি, দূষণে বিপন্ন উত্তরবঙ্গের বহু নদী

0
2

কিশোর সাহা: বিসর্জনের পরে নদীবক্ষ থেকে কাঠামো সরানোর কাজ এখনও হয়নি। ফলে, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার শহর ও লাগোয়া এলাকার কয়েকটি নদীর দূষণ বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খবর পৌঁছেছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে। সরকারি সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে প্রতিটি জেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুরসভাকে দ্রুত নদী সাফাইয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু, সেই পরামর্শ মানা যে হচ্ছে না তা শিলিগুড়ি ও লাগোয়া জলপাইগুড়িতে কয়েকটি নদীর বুকে চোখ পড়লেই বোঝা যায়। শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল লাগোয়া সাহু নদীর কথাই ধরা যাক। ওই নদী জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ডাবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় পড়ে। এলাকাটি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে রয়েছে। সাহুতে গত মঙ্গলবার থেকে পড়ে আছে প্রচুর প্রতিমার কাঠামো ও পুজোর আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম। তাতে এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই উদ্বিগ্ন।

জলপাইগুড়ির আমবাড়ি লাগোয়া করতোয়া অথবা শহরের করলা নদী কিংবা তিস্তার একাংশেও প্রতিমার কাঠামো পড়ে আছে। শিলিগুড়ির মহানন্দা, বালাসন, পঞ্চনইয়ের বুকেও ইতিউতি প্রতিমার কাঠামোর পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) মুখপাত্র অনিমেষ বসু জানান, তাঁরা ফি বছরই নদী থেকে দ্রুত কাঠামো সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আর্জি জানান। এবারও ন্যাফ তা জানিয়েছে। অনেক জায়গায় কাঠামো সরাতে দেরি হচ্ছে বলে তাঁরাও খবর পেয়েছেন। অনিমেষবাবু জানান, তাঁরা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশেই এবার বিজেপি-বিএসপি গোপান বোঝাপড়া? জল্পনা তুঙ্গে

উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট পরিবেশপ্রেমী তুহিনশুভ্র মন্ডল নদী বাঁচানোর জন্য লাগাতার আন্দোলন ও গবেষণা করে চলেছেন। তিনি জানান, বিসর্জন নদীতে হওয়ারই কথা। তা বলে নদীর স্রোত যাতে অবরুদ্ধ না হয়, নদীতে থাকা জলজ প্রাণের বিনাশ না হয় সে দিকে সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে। তিনি জানান, তাঁরাও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নদীর দূষণ কমানোর জন্য লাগাতার নানা মহলে আর্জি জানিয়ে যাচ্ছেন।