দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে মিনিট ২০-২৫ মিনিটের বৈঠক সেরে ফের রাজ্যপাল যথারীতি রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। বললেন, রাজ্যে অরাজক অবস্থা চলছে আর রাজ্য প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে। রাজ্য বারুদের উপর বসে রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের সম্ভাবনা সরাসরি উড়িয়ে না দিয়ে ঘুরিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে যেসব কথা বলছেন, তা যে কতখানি অসত্য, তা জানিয়ে এসেছি। বাকি যা কথা হয়েছে, প্রকাশ্যে বলার নয়।

আরও পড়ুন : মোদির জন্যই এই হাল, ভোটের বিহারে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ পরিযায়ী শ্রমিকদের
এদিনও একই ভঙ্গিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলেন। বলেন, দেশের সংবাদ মাধ্যমের জানা উচিত পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির কথা। এখানে বারবার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে আছে। তাঁর জিজ্ঞাসা, রাজনৈতিক আদেশ পালন করাই কি পুলিশের কাজ? বারবার প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি। পুলিশের মাধ্যমে শাসন চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক আদেশ পালন করাই এখন পুলিশের একমাত্র কাজ।
আরও পড়ুন : প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা, শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর
পরেই আরও গুরুতর অভিযোগ এনে ধনকড় বলেন, রাজ্যে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে সেটা ভেবেই আমি আতঙ্কিত হচ্ছি। রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হানাহানি, খুন চলছে। বিরোধী দলগুলি রাজনীতি করতে পারছে না। আমলারা রাজ্য শাসকদলের তল্পিবাহক হয়েছে। আইনের শাসনকে রাজ্যের শাসক দল উপেক্ষা করছে মুখ্য সচিব ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে একের পর এক অপরাধ বেড়ে চলেছে। তবু রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমি সে কথাই আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়ে এসেছি। বাকিটা কেন্দ্র সরকার ঠিক করবে।

নভেম্বর মাস জুড়ে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে থাকার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে রাজ্যপাল বলেন, ঐতিহাসিকভাবে সত্য রাজ্যপাল দার্জিলিঙে যান। আমি নিজে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আমি এবার যাব এবং সেখান থেকে কাজ করব। এবং এলাকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধা সংস্কৃতি-ঐতিহ্য জানার চেষ্টা করব।




































































































































