পুজোয় আর নেই মন খারাপের মেঘ, অষ্টমীর সকালে উঁকি দিল ঝলমলে রোদ

0
3

একে করোনায় নাজেহাল দশা, তারই মাঝে পুজোয় এবার মন খারাপের প্রহর আরও বাড়িয়ে ‘গভীর নিম্নচাপ, অতি ভারী বৃষ্টি’র মত শক্তপোক্ত পূর্বাভাস দিয়ে চলেছিল হাওয়া অফিস। তবে সবকিছু পরিবর্তিত হয়ে গেল এক মুহুর্তে বঙ্গোপসাগরের রাস্তা ধরে অতি ভারী বৃষ্টি পুজো মণ্ডপ গুলিতে আছড়ে পড়ার আগেই ঘুরে গেল অন্য পথে। পশ্চিমবঙ্গ নয় একেবারে সোজা বাংলাদেশের রাস্তা ধরল নিম্নচাপ। অন্তত তেমনটাই জানা গিয়েছে আবহাওয়া দফতরের সূত্রে। অষ্টমীর সকাল থেকেই উঁকি দিচ্ছে ঝলমলে রোদ। সবমিলিয়ে মন খারাপের আর কোনও জায়গায় রইল না।

আবহাওয়া দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের এই রাস্তা পরিবর্তনের ফলে রাজ্যে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত থাকছেই না। বাংলাদেশে ঢোকার পর নিম্নচাপটি দুর্বল হতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে পুজোর উৎসবে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। কিন্তু হঠাৎ কেন এই পথ পরিবর্তন নিম্নচাপের? হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নির্ধারিত হয় বায়ুর উচ্চস্তরের অভিমুখের উপরে। সেই অভিমুখ বদলানোর ফলেই নিম্নচাপটি অনেকখানি এগিয়ে বাংলাদেশ অভিমুখে চলে গিয়েছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে নিম্নচাপের এই পথ পরিবর্তন নিশ্চিত ভাবেই স্বস্তির।

আরও পড়ুন: ‘আমার সমস্ত পাণ্ডুলিপি, গান,রচনা, যেন ধ্বংস করা হয়’, নিজের ইচ্ছাপত্র পোস্ট করলেন কবীর সুমন

প্রসঙ্গত গত কাল পর্যন্ত পূর্বাভাস ছিল উপকূল থেকে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপটি। নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির ছোঁয়া মিলেছিল। হাওয়া অফিসের আশঙ্কা ছিল অষ্টমী থেকে গোটা রাজ্য কার্যত ভাসিয়ে দেবে প্রবল বৃষ্টি। তবে সে আশঙ্কা আপাতত অনেক দূর। শনিবার মেঘের আবরণ কমতে শুরু করলে একেবারে শরতের ঝকঝকে নীল আকাশেরও দেখা পাবে বঙ্গবাসী।