প্রতিবছরই পুজোয় পাল্টে যায় শহরের মেট্রো চলাচলের সময় সীমা। নির্ধারিত সময়ের বাইরে গিয়েই দেওয়া হয় অতিরিক্ত মেট্রো। কিন্তু এবছর, পুজো মণ্ডপে NO ENTRY-র নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও নিয়ম কিছুটা শিথিল হয়েছে।
বুধবার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় আগের নিয়মই বহাল রেখেছেন। আর হাই কোর্টের পুজো সংক্রান্ত রায়ের পরেই সিদ্ধান্ত বদলের ভাবনা। এবার পুজোয় আর হয়তো বিশেষ পরিষেবা দেবে না মেট্রো। বাড়বে না শেষ মেট্রোর সময়সীমাও। অন্য দিনের মতোই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতেও প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ মেট্রো চলতে পারে রাত ন’টায়।
আরও পড়ুন : কোভিড বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন সাউথ মাদ্রাস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের
উল্লেখ্য, প্রতিবছরের মতন এবছরও পুজোয় ভিড় সামাল দিতে ৫ দিন মেট্রোর সময়সূচিতে বদল করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল ষষ্ঠীতে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯.৩০ পর্যন্ত মেট্রো চালানো হবে। সপ্তমী থেকে নবমী দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা আট মিনিট অন্তর এবং দশমীতে সকাল ১০.১০ থেকে রাত ৯.৩০টা পর্যন্ত মেট্রো চলবে।
অর্থাৎ,আগের মতই পুজোর ক’দিন মেট্রোর সময়সীমা বাড়ানো হত। কিন্তু সোমবার আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত বদলের ভাবনা কর্তৃপক্ষের। এ প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “পুজোয় যে অতিরিক্ত সময় মেট্রো পরিষেবা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল তা সম্ভবত বদলানো হতে পারে। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”
আরও পড়ুন : NO ENTRY-র নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেই নিয়ম কিছুটা শিথিল হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, সমস্ত পুজো মণ্ডপের বাইরে থাকবে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড। এছাড়া সমস্ত পুজো মণ্ডপই কনটেনমেন্ট জোন। ক্লাবগুলির তরফে নির্দেশ কতটা মানা হল, পুজোর পর সেই রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজিকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়ের পরই সিদ্ধান্ত বদলের ভাবনা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।




































































































































