আগামীকাল, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বারোয়ারি পুজো সংক্রান্ত মামলায় ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের দাখিল করা রিভিউ পিটিশনের মামলার শুনানি বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেদিকে যেমন তাকিয়ে রয়েছে কলকাতার বড়বড় পুজো কমিটিগুলো, একইভাবে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবও আশায় বুক বাঁধছে। তবে হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা মামলার শুনানির আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। দর্শকদের উদ্বেগর কথা মাথায় রেখেই পাসের টাকা রিফান্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।
এবার করোনা মহামারী আবহে দুর্গাপুজো। প্রতিবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে প্রতিমা দর্শনের জন্য পুজো পাসের ব্যবস্থা করেছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। করোনা বিধির বিষয়টি বিবেচনা করে এবার স্লটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে পুজো মণ্ডপে “NO ENTRY”, তাহলে গাঁটের কড়ি খরচ করে যাঁরা পাস বুক করেছিলেন, তাঁদের কী হবে? তাঁদের টাকা কি জলে যাবে? গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর থেকে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
কিন্তু উদ্বেগ কাটিয়ে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব ঘোষণা করল, পাসের টাকা রিফান্ড করা হবে। একইসঙ্গে আজ, মঙ্গলবার থেকে নতুন পাস বিক্রিও বন্ধ করা হয়েছে। বুধবার রিভিউ পিটিশনের মামলায় কী রায় হাইকোর্ট দেয়, তা জানার আগেই এমন সিদ্ধান্ত খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এদিন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যেখান থেকে দর্শনার্থীরা পাস বুক করেছিলেন, সেখান থেকেই টাকা রিফান্ড করা হবে। প্রতিটি ই–পাসের জন্য ২০০ টাকা খরচ হয়েছে দর্শকদের। সেই টাকা ফিরিয়ে দেবে সংগঠন।
উল্লেখ্য, প্রতিবারের মতো এবছরও নির্বিঘ্নে শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুর্গাপুজোগুলি দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। করোনা আবহে ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিশেষ ই–পাসের। আগে থেকে এই ই–পাস বুক করে পঞ্চমী থেকে নবমীর পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রতিমা ও মণ্ডপ দেখতে পারতেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে ছবি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বন্যাকবলিত তেলেঙ্গানার পাশে মমতা, বাংলার তরফে ত্রাণ তহবিলে দু’কোটি টাকা





























































































































