পূর্ব মেদিনীপুরে জেলায় বন-সহায়ক পদের ইন্টারভিউ৷
এক আবেদনকারীর কাছে
প্রশ্নকর্তা জানতে চাইলেন,
‘বাড়িতে বিষধর সাপ ঢুকলে কী করবেন?’
সঙ্গে সঙ্গে উত্তর এলো “হিসহিস আওয়াজ করবো স্যর। তাতেও না বেরিয়ে এলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলব।’
বিস্মিত প্রশ্নকর্তা৷ ফের জানতে চান, মেরে ফেলবেন? কেন, বনদপ্তরে খবর দেবেন না?
বিন্দুমাত্র সময় না নিয়েই ফের এলো উত্তর, ‘স্যর, ততক্ষণে সাপ আমাদের যমের দুয়ারে পৌঁছে দেবে।”
এখানেই থামেনি, আরও প্রশ্নোত্তর আছে৷
এক প্রার্থীর কাছ থেকে দু’টি বন্যপ্রাণীর নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে প্রার্থী বলেন, গোরু ও মোষ। বিস্মিত প্রশ্নকর্তার পাল্টা প্রশ্ন, ‘গোরু, মোষ বন্যপ্রাণী?’ ভুল ‘শুধরে’ নিয়ে প্রার্থী বলেন, ‘ও আচ্ছা, বন্যপ্রাণী বললেন তো, তাহলে বন্য গোরু ও বন্য মোষ।’
উত্তর শুনে আর হাসি ধরে রাখতে না পেরে হো হো করে হেসে ফেলেন প্রশ্নকর্তা। ইন্টারভিউতে আসা যুবককে বললেন, ‘বন্য গোরু, বন্য মোষ বলে কিছু আছে না’কি?’
মাথা চুলকে উত্তরদাতার বক্তব্য, কেন স্যর, বনে- বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো গোরু-মোষকে আমরা কি বন্য বলতে পারি না?
এক প্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আচ্ছা সুন্দরবন কোথায়? প্রার্থীর উত্তর, পূর্ব মেদিনীপুরে স্যর। উত্তর সংশোধনের সুযোগ দিয়ে প্রশ্নকর্তা বললেন, সুন্দরবন পূর্ব মেদিনীপুরে? ঠিক করে বলুন।
উত্তরদাতা ৩-৪টি জেলার নাম একসঙ্গে জানিয়ে বললেন, এর মধ্যে কোনও একটা জেলায় হবে৷ এখনই আমার ঠিক মনে পড়ছে না।
গল্প মনে হচ্ছে ? একদমই গল্প নয়৷ পুরো বাস্তব৷ এ সবই প্রার্থী ও দপ্তরের আধিকারিকের কথোপকথন।
গত ৫ অক্টোবর থেকে তমলুকের নিমতৌড়ির বনদপ্তরের অফিসে চলছে বন-সহায়ক পদের ইন্টারভিউ৷
রোজ প্রায় ৪০০ আবেদনকারীকে ডাকা হচ্ছে। শ’দুয়েক আসছেন৷ তাঁদের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে দপ্তরের অফিসাররা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বন সহায়ক পদের সংখ্যা মাত্র ১০টি। আবেদন জমা পড়েছে ১৮ হাজার৷
অষ্টমশ্রেণী পাশ যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে বন সহায়ক পদে৷ এখনও পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা প্রায় ৫০ জন যুবক-যুবতী ইন্টারভিউয়ে এসেছিলেন৷ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, বিএড পাশ করা প্রার্থীর সংখ্যা দেখে বনদপ্তরের কর্মীরাও বিস্মিত ৷
আরও পড়ুন : ডানা ছেঁটে, যৌথ দায়িত্ব দিয়ে দিলীপকে কার্যত ‘সবক’ শেখাল দলীয় নেতৃত্ব

































































































































