পুজোর মুখে ফের বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ফের পারদ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় কপালে ভাঁজ প্রশাসনের। কারণ
পুজোর ভিড় এবং মেলামেশার ফলে আরও বাড়তে পারে করোনা। যার ফলে পুজোর পর হাসপাতালে রোগীদের শয্যা পাওয়াটাই দুষ্কর হয়ে উঠবে ।
এতদিনে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সামাজিক দূরত্ব বিধি না মানতে পারলে ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। দর্শনার্থীরা যখন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় জমাবেন, উৎসবে মেতে উঠবেন, তখন সবার অলক্ষ্যে সংক্রমণের হার যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে । এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সর্তকতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন । মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকটি জেলাশাসক কে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তবুও হাসপাতালের শয্যা পাওয়াটা যে লটারি পাওয়ার সমান হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।
শনিবার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
প্রসঙ্গত, শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এ যাবৎ সর্বাধিক। এ ছাড়া, প্রতি দিনের কেস পজিটিভিটির হারে কেন্দ্রকে ছাপিয়ে গিয়েছে রাজ্য। সারা দেশে প্রতি দিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যার নিরিখে আক্রান্তের হার ৬.২৯ শতাংশ। সেই মাপকাঠিতে আট শতাংশের গণ্ডি (শুক্রবার ৮.৪০ শতাংশ, শনিবার ৮.৩৭ শতাংশ) পেরিয়ে গিয়েছে বাংলা।
এই আবহে মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের জানিয়েছেন, পুজোর পরে হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা। সেই কারণে প্রতি জেলায় সেফ হোম এবং কোভিড শয্যার সংখ্যা দ্রুত বাড়াতে হবে।। অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা, ভেন্টিলেটর, ওষুধপত্র দ্রুত কেনার ব্যাপারেও জোর দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে যাতে মাস্ক ছাড়া কেউ না-আসেন, প্যান্ডেল যাতে খোলামেলা হয়, স্যানিটাইজার রাখা হয়, তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
রাজ্যে কেস পজিটিভিটির হার ইতিমধ্যেই চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসক মহলকে।আইএমএ’র রাজ্য শাখাও স্বাস্থ্যসচিবের কাছে পরীক্ষার সংখ্যাবৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.