পরপর মৃদু ও মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি

0
3

ফের ভূমিকম্প অনুভূত হল ভারতের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে। শুক্রবার একসঙ্গে কেঁপে ওঠে হিমাচল প্রদেশে, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশ। তবে ভূমিকম্পের মাত্রা কম থাকায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

শুক্রবার ভোরে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় হিমাচল প্রদেশের লাহৌল এবং স্পিতিতে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.৩। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে, লাহৌল ও স্পিতিতে একবার নয়, পর পর চারবার কেঁপে উঠেছে। ভোররাত ২.২৮ মিনিট থেকে ২.৪৪ মিনিট পর্যন্ত ওই এলাকায় ২.১, ২.৪, ২.৫ ও ৩.৩ মাত্রায় কম্পন হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের ধরমশালা থেকে ৬৭ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর পূর্বে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল।

হিমাচল প্রদেশের পরে অরুণাচল প্রদেশে ভূমিকম্প হয়। ভোর ৩.১২ মিনিটে কেঁপে ওঠে উখরুল থেকে ৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অরুনাচল প্রদেশের কামজং জেলা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৪। ভূমিকম্পের উত্‍সস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিমি গভীরে। এদিকে, সকাল ৮.২৮ মিনিট নাগাদ আবার ভূকম্পন অনুভূত হয় অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.০।

আরও পড়ুন : পাক সহায়তায় অধিকৃত কাশ্মীরে মিসাইল মোতায়েন চিনের

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে ভারতকে চারটি সিসমিক জোনে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বিপদজনক জোন হচ্ছে ৫। এই জোনের আওতায় পড়ছে হিমাচল প্রদেশ।

উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ঘন ঘন ভূকম্প হচ্ছে। মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশে গত কয়েক মাসে একাধিকবার ভূকম্প অনুভূত হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলোজির রিপোর্ট অনুযায়ী, মণিপুরে গত ১১ মে, ২৫ মে, ২৮ জুন, ৭ আগস্ট, ১১ অগাস্ট এবং ৩১ আগস্ট ভূমিকম্প হয়েছে। তেমনি অরুণাচল প্রদেশে গত ৭ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিল, ১৭ মে, ৩০ জুলাই এবং ১২ আগস্ট ভূমিকম্প হয়েছে। এছাড়া, মিজোরাম এবং অসমেও একাধিকবার ভূমিকম্প হয়েছে। এত ঘনঘন ভূমিকম্প চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।