নবান্ন চলো : ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ‘সড়ক টু’র মতো ফ্লপ শো, অভিজিৎ ঘোষের কলম

0
2
অভিজিৎ ঘোষ

বৃহস্পতিবারের বিজেপির ‘নবান্ন চলো অভিযান’। অনেক ঢাক-ঢোল পেটানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল বুঝিয়ে দেবে রাজ্য প্রশাসনকে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে অশ্বডিম্ব প্রসব করল বিজেপির যুব মোর্চার অভিযান। গর্জন ছিল, কিন্তু বর্ষণ কোথায়? টাপুর-টুপুর বৃষ্টি। কেউ বলছেন, এটা আসলে ‘সড়ক টু’র মতো ফ্লপ শো।

মিছিল হলো, কিন্তু কোথায় কর্মী সমর্থক? কোনও এলাকার মিছিল ২০০০-এর বেশি হয়নি। এমনকী যুবর রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সভাপতির মিছিলও। হেস্টিংসে তো মিছিল লক্ষ্য করে লাঠি চার্জ করতেই বিপ্লব শেষ। ফাঁকা। বাকি সময় মাছি মারল পুলিশ। হাওড়া ময়দানে খুব বেশি হলে ৫০০জন। আন্দোলন নয়, ঢিল ছোঁড়াই ছিল মিছিলে আসা সমর্থকদের। হাওড়া ব্রিজে উঠতেই পারেনি মিছিল। মিছিল ফিরে যায় সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের দিকে। নবান্নর কোনও মিনি অফিস সিআর এভিনিউতে থাকার খবর মেলেনি। সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল কিছু দূর গিয়েই থেমে গেল। তারপর ঈষৎ উত্তেজনা। হাওড়া ব্রিজের পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙতে এত কম সমর্থক ছিলেন যে পুলিশ একসময় পাত্তাই দেয়নি।

সবচেয়ে দেখার বিষয়, এই ধরণের অভিযানে মিছিলে সমর্থক সংখ্যা থাকে প্রচুর। কিন্তু ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এর ক্যামেরা বারবার বলে দিচ্ছিল কোথায় সমর্থকের ঢল। অনেক জায়গায় সমর্থকদের চাইতে পুলিশের সংখ্যা বেশি।

নিশ্চিতভাবে এই অভিযানে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুলিশ। তবে নতুন হল বেগুনি কামান-জল। রঙিন করে দেয় পরিবেশ।

প্রমাণিত হয়ে গেল, পুলিশ চাইলে সব উৎসাহে জল ঢেলে দিতে পারে। কিন্তু বিজেপি যে অভিযোগই করুক না কেন, নবান্ন অভিযানে প্রচুর ঢাক বাজিয়ে আসলে যেটা দেখা গেল সেটা হলো রাজ্যে বিজেপির আম জনতার সমর্থনের চিত্রটা।

আরও পড়ুন-“Wait and watch” পদ্ধতিতে বাজিমাত করল পুলিশ