বালুরঘাটে বিরোধী শিবিরে বড়সড় ভাঙন, হাত ছেড়ে তৃণমূলে হেভিওয়েটরা

0
2

একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে শাসক দল। অন্যদিকে, ভাঙন অব্যাহত বিরোধী শিবিরে। বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস কিংবা বাম, প্রত্যেকের ঘরে ফাটল ধরিয়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান অব্যাহত। পাহাড় থেকে জঙ্গল, সাগর থেকে শহর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর উন্নয়নের শরিক হতে অন্য দলের নেতা-কর্মীরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। হাতে তুলে নিচ্ছেন ঘাসফুলের পতাকা।

 

তারই অঙ্গ হিসেব এবার হাত ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিলেন
দক্ষিণ দিনাজপুরে কংগ্রেসের একঝাঁক নেতা-কর্মী। বালুরঘাটে তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্রর হাত ধরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির দু’জন-সহ ব্লক ও অঞ্চল কমিটির একাধিক সভাপতি ও তাঁদের শ’দুয়েক অনুগামী ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও সহ-সভাপতি সুমিত দত্ত, ওয়ার্কিং কমিটির আরেক সদস্য শুভজিৎ কুমার দত্ত, হিলি ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় সূত্রধর ও আইএনটিইউসি’র ব্যাংক ইউনিয়নের নেতা ছোটন ঘোষ-সহ আরও অনেকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। একুশের নির্বাচনের আগে যা দক্ষিণ দিনাজপুরে শক্তি বাড়ালো শাসকের।

বালুরঘাটে যোগদান অনুষ্ঠানে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের অন্যতম নেতা তথা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি গৌতম দাস, চেয়ারম্যান শঙ্কর চক্রবর্তী। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের দুই কনভেনর ললিতা টিগ্গা, সুভাষ চাকি ও সাধারণ সম্পাদক রাজেন শীল।

ওমপ্রকাশ মিশ্র জানিয়েছেন, “যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসে থাকাকালীন সময় থেকে তাঁদের খুব ভালোভাবে চিনি। এঁরা এলাকায় বেশ পরিচিত ও দক্ষ সংগঠক। তাঁরা সকলেই মানুষের জন্য কাজ করতে চান। কিন্তু কংগ্রেসে সেই সুযোগ না পাওয়ায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তাই শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতিতে তাঁদের তৃণমূলে সামিল করে নেওয়া হলো।”