নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তিনি অপ্রতিরোধ্য, এমন একটা বার্তা দিতে করোনা পজিটিভ ডোনাল্ড ট্রাম্প হাসপাতালের চিকিৎসা শেষ না করেই তিন দিনের মাথায় হোয়াইট হাউস ফিরে এলেন। তার আগে মুখের সাদা সার্জিক্যাল মাস্ক খুলে রীতিমত পোজ দিয়ে ছবিও তুললেন। আর টুইট করে জানালেন, আমি এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল আছি। ২০ বছর আগে যেমন ছিলাম, তার চেয়েও। করোনাকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। আর মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই কার্যকলাপ যথারীতি নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছে। হোয়াইট হাউসে তাঁর এখন কোয়ারান্টিনে থাকার কথা। কিন্তু তিনি নিয়ম কতটা কী মানবেন, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। চিকিৎসকদের পরামর্শ তিনি যেভাবে উপেক্ষা করছেন তাতে হোয়াইট হাউসের অন্য কর্মচারীদের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা যেমন থাকছে, তেমনি করোনা মোকাবিলা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যে কতটা দায়সারা মনোভাব নিয়ে চলেছে, তাও স্পষ্ট হচ্ছে। ওয়াল্টার রীড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তিনি যেভাবে দুম করে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে কনভয় নিয়ে এসইউভি চড়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করেছেন, তা নিয়ে মার্কিন মুলুকেই জোর বিতর্ক বেধেছে। অনেকেই বলছেন নির্বাচনের আগে সমর্থকদের মনোবল ও উৎসাহ ধরে রাখতেই এসব করছেন ট্রাম্প। আবার অনেকের মতে, নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশের ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক নেতা প্রতিপন্ন করতে অবৈজ্ঞানিক কাজকর্ম করছেন ট্রাম্প, তাতে গোটা দেশে ভুল বার্তা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে এক নম্বর জায়গায় থাকা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কীভাবে প্রকাশ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করতে পারেন?
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে করোনা নিয়েও খোশমেজাজে থাকার কথা জানালেও তাঁর মেডিক্যাল টিমের বক্তব্য কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়াচ্ছে। মেডিক্যাল সূত্রের বক্তব্য, ৭৪ বছরের ট্রাম্পকে ইতিমধ্যেই দুবার অক্সিজেন দিতে হয়েছে। তাঁর শরীরে সংক্রমণ এখনও পুরো মাত্রায় বহাল। এর মধ্যেই গতকাল প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব কেলিগ ম্যাকইনানি করোনা পজিটিভ হয়ে কোয়ারান্টিনে চলে গিয়েছেন।