আগেই কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়ে নিজের মনোভাবের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, খড়্গপুরে প্রশাসনিক সভা থেকে ফের জানান, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের পুরো টাকা যদি কেন্দ্র দেয় তাহলে, তাহলে রাজ্যে চালু করতে দিতে আপত্তি নেই মুখ্যমন্ত্রীর। এর আগে এই প্রকল্প চালু করা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে প্রকল্পে রাজ্যকে অনেকটা পরিমাণ টাকা দিতে হচ্ছে, সেই প্রকল্প কেন্দ্রের নামে বাংলায় চালু করতে তিনি দেবেন না। এর বদলে রাজ্যে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালু করেছেন তিনি। এই প্রকল্পের পুরো টাকা দেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, রাজ্যের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের নামে প্রকল্প করে নাম কিনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই নিয়ে বিজেপি প্রতিক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। রাজ্যের মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে ধুয়ো তোলে গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এই বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। এবার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের একশোভাগ টাকাই কেন্দ্রীয় সরকার দেয়, তাহলে সেই প্রকল্প বাংলায় চালু করতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও আপত্তি নেই।

পাশাপাশি, এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে ফের করোনা নিয়ে সতর্কবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি। যেহেতু ভাইরাস আক্রান্ত হলে অনেকেই বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন এবং সেই সুযোগও রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁকে বাড়ির মধ্যে সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। তা না হলে অন্যরাও ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে পড়বেন; সেটা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোন রোগে শরীর দুর্বল থাকলেও খুব সহজে কোভিড আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে যেকোন অসুখের চিকিৎসা করাতে হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে।
আরও পড়ুন:ক্লাবকে পুজোর অনুদান নিয়ে ‘আমরা-ওরা’ নয়: মমতা


































































































































