হাথরাস, বলরামপুর থেকে গুরুগ্রামে ধর্ষণের ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে। শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহে একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ভর্ৎসনার মুখে পড়ল ভারত।

খোদ রাষ্ট্রসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর হাথরাস, বলরামপুর সহ অন্যান্য ঘটনার উদাহরণ টেনেছেন। ভারতের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘হাথরাস এবং বলরামপুরের ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিল ভারতে মহিলারা এখনও পিছিয়ে। লিঙ্গবৈষম্য এখনও বেঁচে আছে ভারতে। আর এতে শিকার হচ্ছেন মহিলারা।’’ স্পষ্টতই, দেশের মেয়েদের উপর লাগাতার নৃশংস আচরণ জাতীয় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে রাষ্ট্রসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকের এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এরপরই এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘রাষ্ট্রসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনাগুলিতে তদন্তপ্রক্রিয়া এখনও চলছে। রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের মন্তব্য একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং অযাচিত। তাঁর জেনে নেওয়া উচিত সরকার এই ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বাইরের কারোর থেকে এই মন্তব্য কাম্য নয়।’’ হাথরাস সহ বাকি ঘটনা নিয়ে কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চের হস্তক্ষেপ সরকার বরদাস্ত করবে না তা বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্যে স্পষ্ট। এদিকে হাথরাস কাণ্ডের পর এর প্রতিবাদ, বিক্ষোভ নিয়ে বিদেশি শক্তির ‘হাত’ দেখছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন:শীতে বাড়বে করোনার প্রকোপ, আশঙ্কার কথা শোনাল হু

































































































































