৩৪ বছর বাংলায় ক্ষমতায় থাকা সিপিএমের ভোট কমতে কমতে কেন ৮% আশপাশে এসে ঠেকেছে, তা বুঝিয়ে দিল ডুয়ার্স। এখানকার গয়েরকাটার পার্টি অফিস ভাড়া দিয়ে দিল সিপিএম। ভাড়া মাসিক ২০০০টাকা। খবর প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় আত্মগ্লানিতে ভুগছেন নেতানেত্রীরা। জেলা সম্পাদক বলছেন দেখছি। অন্য নেতারা বলছেন ঠিক নয়, অন্যায়। প্রশ্ন হলো ঠিক তো নয়, কিন্তু সকলে কী দিবা নিদ্রায় গিয়েছিলেন যে চোখের উপর এমন ঘটনা ঘটে গেল!
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির গয়েরকাটা। পোস্ট অফিসের গায়ে সিপিএম পার্টি অফিস। মূলত চা-বাগান শ্রমিকদের ভিড় থাকত একসময়। ক্ষমতায় থাকাকালীন পার্টি অফিস থাকত সরগরম। ২০১১ সালে জমানা বদলের পরেও বিশাল কিছু পরিবর্তন হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটে সাকোয়াঝোড়ায় জিতেছিল বামেরা। ২০১৪ পর্যন্ত অফিস থাকত স্বাভাবিক। এরপর দলবদলে ক্ষমতা যায় তৃণমূলের হাতে। আর সিপিএম পার্টি অফিসে তারপর থেকে ভিড় পাতলা হতে থাকে। ক্রমশ দায়সাড়া পার্টি অফিসে পর্যবসিত।
সম্প্রতি কয়েকজন ফেরিওয়ালাকে পার্টি অফিসে মাথায় ঝাঁকি নিয়ে ঢুকতে বেরতে দেখা যায়। জানা যায় এই ফেরিওয়ালাদের মাসিক হাজার দুয়েক টাকায় ভাড়া দিয়েছে মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। মূলত মালদার শ্রমিক তাঁরা৷ মহম্মদ রাকিবুল নামে এক ফেরিওয়ালা জানান, ভাড়া নিয়েছি। যেসব মাল এনেছি ফুরিয়ে গেলেই ছেড়ে চলে যাব।
জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক সলিল আচার্যর দাবি, তিনি এই ঘটনার কথা জানেন না। পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার এক্তিয়ার কারওর নেই। এটা পার্টি বিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। খবর নিয়ে ব্যবস্থা হবে।
ব্যবস্থা না হয় হলো। এই ঘটনা কি চোখে আঙুল দিয়ে সিপিএমের কঙ্কালসার পরিস্থিতি দেখিয়ে দিল না! নবান্ন যে বহুদূর তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?
আরও পড়ুন:হাথরাস,গোর্খাল্যাণ্ডের উত্তাপের মাঝে নজরহীন আনাজের বাজারেও আগুন