বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার ব্যারাকপুর বনধে সেভাবে কোনও প্রভাব নেই

0
3

বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার ব্যারাকপুর বনধের সেভাবে কোনও প্রভাব পড়ল না। বরং বলা যেতে পারে বনধ প্রত্যাখান করলেন ব্যারাকপুরবাসী। দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে ডাকা এই বনধে অবশ্য টিটাগড়ের কিছু এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও বনধের কোনও প্রভাবই পড়েনি। রাস্তায় মানুষ বেরিয়েছেন। রয়েছে পুলিশ ও র‍্যাফের কড়া নজরদারিও। যানবাহন চলছে স্বাভাবিক ছন্দে । সরকারি ও বেসরকারি বাস চলছে বিটিরোডে।
টিটাগড়ের কিছু এলাকা বাদ দিয়ে কার্যত দোকানবাজার সবই খোলা রয়েছে ব্যারাকপুর মহকুমা জুড়ে। ব্যারাকপুর স্টেশন চত্বর, চিড়িয়া মোড় এলাকায় জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছিল যথেষ্ট । বেলা বাড়তে টিটাগড় থানার সামনে ভিড় করেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা।

আরও পড়ুন- বিজেপি নেতার ময়নাতদন্ত: NRS হাসপাতালের বাইরে ব্যাপক উত্তেজনা
এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির নেতারা ।এই হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের দাবি করেন রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘ এই ঘটনা কোনও সামান্য ঘটনা নয়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের  সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। একইসঙ্গে এখানকার পুলিশ আধিকারিকদের ভূমিকাও সিবিআই তদন্ত করে দেখুক।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত না করা হলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে না। রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা নেই। তাই আমরা চাইছি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত হোক।
বিজেপি সমর্থকরা বিটিরোড ও কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে কোনও কোনও জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন।
এক বিক্রেতা জানান, অন্যান্য দিনের মতোই আজও ক্রেতারা দোকান এসেছেন । বরং সংখ্যাটা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।
বন্‌ধে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও র‌্যাফ মোতায়ন করা হয়েছে।