উত্তরপ্রদেশে এ কোন শাসন চলছে ? হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারকে আইনি সাহায্যও নিতে দেবেনা উত্তর প্রদেশের অজয় বিস্ত সরকার৷
নির্ভয়ার আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি লড়াই চালাবেন৷ সেই মতো দেখাও করতে গিয়েছিলেন ওই পরিবারের সঙ্গে ৷ কিন্তু বিস্ত সরকারের পুলিশ পথেই আটকালো কুশওয়াহা-কেও৷
পুলিশি চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা হাথরাস। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধা পেলেন আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা। এই কুশওয়াহা-ই ২০১২ সালের নির্ভয়া-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী ছিলেন। হাথরাস কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে বিনা পারিশ্রমিকে আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ওই রাজ্যের পুলিশ তাঁকে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি৷
গত বৃহস্পতিবার হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সীমা কুশওয়াহা। কিন্তু পুলিশ তাঁর রাস্তা আটকায় বলে অভিযোগ। পরে থানায় গিয়ে তিনি অনুরোধ করেন৷ কিন্তু তাঁকে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷
সংবাদমাধ্যমে সীমা কুশওয়াহা বলেন, ‘‘নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা না হওয়া পর্যন্ত হাথরাস ছেড়ে যাব না আমি। ওঁরা আমাকে আইনজীবী হিসেবে চেয়েছেন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন আমাকে ওঁদের সঙ্গে দেখাই করতে দিচ্ছে না। নির্যাতিতার দাদার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার”।
সীমা অভিযোগ তুলেছেন, “পরিবারের হাতে দেহ তুলে না দিয়ে যে ভাবে রাতারাতি নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়, তা বেআইনি৷ শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷” তিনি বলেন, ‘‘অন্যায় ভাবে মেয়েটির দেহ সৎকার করে দেওয়া হয়। পরিবারের অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। মেয়েটি কথা বলতে পারছিলো না, কিছু লেখার ক্ষমতা ছিল না, সবার আগে তার ডাক্তারি পরীক্ষা হওয়া উচিত ছিল।’’
প্রসঙ্গত, ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হওয়া নির্ভয়ার মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী ছিলেন সীমা কুশওয়াহা। টানা ৭ বছর আইনি লড়াই চালিয়ে এ বছর মার্চ মাসে দোষী সাব্যস্ত চার জন, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিংহের ফাঁসিকাঠে পৌঁছে দিয়েছিলেন সীমা কুশওয়াহা।
এদিকে রাজ্যের অতিরিক্ত ডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্তকুমার জানিয়েছেন, “ময়নাতদন্তে ধর্ষণ প্রমাণিত হয়নি”৷
আরও পড়ুন : হাথরাসকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার শহরের বুকে মমতার বিশাল প্রতিবাদ মিছিল


































































































































