রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই । অধিকাংশ রাস্তাই তৈরি করার পর কিছুদিনের মধ্যেই ভগ্নদশায় পরিণত হয়। আর এর জন্য মূলত দায়ী ওভারলোডিং। একটি রাস্তার যা বহন ক্ষমতা তার থেকে অনেক বেশি বহন ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়ি চলাচল করায় কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে বলে ইঞ্জিনিয়ারদের মত। এবার সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যারা রাস্তা তৈরি করবেন তাদের কমপক্ষে তিন বছর সেই রাস্তার দায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যবিমা, ক্রেডিট কার্ড, বিদেশ ভ্রমণে চালু হলো নতুন নিয়ম
গ্রামীণ রাস্তায় যেভাবে রাতের অন্ধকারে একের পর এক বড় গাড়ি ঢুকে পড়ছে তা একমাত্র স্থানীয়রাই থামাতে পারেন । এ বিষয়ে স্থানীয়দের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল বা দিদি কে বলো তে অভিযোগ জানাতে বলেছেন তিনি । একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “যিনি রাস্তা তৈরি করবেন, তাকে তিন বছর রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে।”
রাস্তার হাল ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মোড় এই ওভারলোডিংয়ের জেরে যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাতে রাজ্যের পূর্ত দফতরের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। এমনকি ওভারলোডিং যাতে বন্ধ করে রাস্তার হাল দ্রুত ফেরানো যায় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থে নতুন রূপে বজবজ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, উদ্বোধনে কুণাল
ওভারলোড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছে ট্রাক মালিকদের সংগঠন। তাদের সভাপতি সুভাষ বোস জানাচ্ছেন, ” ওভারলোড ও পুলিশি জুলুম নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন মহলে আমরা চিঠি দিয়ে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। পুলিশকে বললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। শুধু বলে ওপরতলার নির্দেশ আছে।” একদিকে রাস্তা খারাপ, অন্যদিকে পুলিশি জুলুম। এই দুইয়ের কারণে চরম সমস্যায় পড়েছেন ট্রাক মালিকরা।
অভিযোগ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে, পুরাতন দিল্লি রোড,  যশোর রোডের অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রতিদিন গাড়ির যন্ত্রাংশ খারাপ হচ্ছে। যদিও রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, লরি ওভারলোডেড কিনা তা দেখার দায়িত্ব এম ভি আই’য়ের।  তাদেরকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা জুলুমের অভিযোগ অস্বীকার করছেন তারা।
রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে কাজ শুরু করব আমরা৷ আমার দফতর সমস্ত রাস্তা কতটা ওজন বহনে সক্ষম, কত টনের গাড়ি যেতে পারে তা দেখবে। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত তালিকা আমরা তৈরি করে ফেলব।”

































































































































