হাথরাসের বুলগারহিত গ্রাম, প্রয়াত নির্যাতিতার বাড়ি যেন ছোটখাটো দুর্গ। আর হাথরাস যেন পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার।
এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যাদের ঘিরে এই ব্যবস্থা সেই বাল্মীকি পরিবারের বাড়ি তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা সেখানে যেতেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে আসছে। ১৯ বছরের কিশোরীকে সেদিন মাঠের মাঝখানে পোড়ানো হয়েছিল। হাতের কাছে ছিল না কোনও দাহ্য পদার্থ। তাই স্যানিটাইজার দিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। এবং কতখানি নৃশংস এবং বিভৎস যে, এখনও সেখানেই পড়ে রয়েছে প্রয়াত নির্যাতিতার দেহাবশেষ।
পুলিশের চোখ এড়িয়ে এদিন সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে যায় নিহত কিশোরীর ভাই। সে জানিয়েছে, হাথরাসের জেলাশাসক শুধু যে হুমকি দিচ্ছেন তাদের পরিবারকে তাই নয়, তার কাকাকে মারধর করে। বুকে লাথি মারে। মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে যায় তার কাকা।
সংবাদমাধ্যমকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না? যোগীর পুলিশের দাবি, তদন্ত চলছে। প্রশ্ন, তদন্ত চলছে তো তার সঙ্গে পরিবারের আর পাঁচজনের কী সম্পর্ক? তাদের কেন আড়াল করা হবে? সংবাদমাধ্যমের সামনে পড়ে যোগীর পার্টির ক্যাডারের মতো আচরণ করা জেলাশাসকের মুখে কুলুপ। পুলিশও মিডিয়ার নাছোড় মনোভাবে বিপাকে। কিন্তু যোগী প্রশাসনের অপদার্থতায় হাতরাসের ঘটনা এখন জাতীয় প্রতিবাদের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যে প্রধানমন্ত্রী রোজ গণমাধ্যমে এসে অজস্র বাণী দিচ্ছেন, এমন পরিস্থিতির পর তিনি একবারের জন্যে ঘটনার নিন্দা করেননি। বিরোধী কংগ্রেস বলছে, সাদা দাড়ি, সাদা চুল আর গেরুয়া পোশাক পড়ে আসলে প্রধানমন্ত্রী সন্ন্যাসীদেরই অপমান করছেন!
আরও পড়ুন-বলিউডের মাদক- কাণ্ডে NCB-র দাবি, রিয়া-র বাড়ি থেকে দেড় কিলো চরস উদ্ধার