পরপর কন্যাসন্তান, শিশুকে শ্বাসরোধ করে খুন মায়ের

0
3

পরপর দুটি কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায়, খুশি ছিলেন না মা। দিনের পর দিন সেই নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিযুক্ত পূরবী পাত্র। সেই কারণেই নিজের চার মাসের কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেন বলেই অভিযোগ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার মথুরাখণ্ড এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পূরবী ও জিতেন পাত্রের বিয়ে হয়েছিল বছর আটেক আগে। বিয়ের দুবছর বাদে তাঁদের একটি কন্যাসন্তান হয়। তার বয়স বর্তমানে ছয় বছর। মাস কয়েক আগে আবার কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ায়, শুরু হয় সমস্যা। পরিবার সূত্রে খবর শিশুকন্যাটির ঠিকমতো যত্ন নিত না পূরবী। এমনকি ঠিকভাবে খেতেও দিত না তাকে। এই কারণে, কেউ তাঁকে শিশুর সঙ্গে একা রাখত না। বৃহস্পতিবার মহিলার শাশুড়ি ও স্বামী নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে একরত্তি মেয়েকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেন মা।

আরও পড়ুন : কৃতি চিকিৎসকের হাত ধরে বিরল অস্ত্রোপচার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে

বাড়ি ফেরার পর ঘটনা দেখে অবাক হয়ে যান জিতেন পাত্র। স্ত্রী ছোটো মেয়ের অযত্ন করতেন, সেটি তিনি জানতেন। কিন্তু তাকে মেরে ফেলবে, এমনটা হয়তো স্বপ্নেও ভাববেননি দুই সন্তানের বাবা। প্রতিবেশীরাই খবর দেন গোসাবা থানায়। অভিযুক্ত পূরবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

মৃত শিশুর নাম অমৃতা পাত্র। বাবা জিতেন পাত্র বলেন, ‘দ্বিতীয়বার মেয়ে হওয়ার পর থেকেই প্রচণ্ড মানসিক অবসাদে ভুগছিল পূরবী। অনেক বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু,ও যে এই রকম কিছু ঘটিয়ে ফেলবে, সেটি বুঝতে পারিনি।’

আরও পড়ুন : রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া বেলুড়ে, ভাইবোনের দেহ আগলে রাখলেন দিদি

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের স্বামী পেশায় দিনমজুর। পরিবারের আয় তেমন রোজগারও ছিল না। তার ওপর লকডাউনের কারণে আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়েছিল পরিবারটি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই কারণের জন্যই হয়তো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন পূরবী। তবে কেন এমন একটি কাজ করলেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।