ব্রু শরণার্থী পুনর্বাসনে দেরি হচ্ছে এই অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন । যদিও ওই আবেদনের ভিত্তিতে এখনও কোনও হস্তক্ষেপ করেনি আদালত। এমনকি ওই আবেদনের ভিত্তিতে কোনও নোটিশ জারি করেনি ত্রিপুরা হাইকোর্ট । তবে পুরো বিষয়টির ওপর আদালত নজর রাখছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির আকিল কুরেশি এবং বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- দিলীপের মধ্যস্থতা, শিব প্রকাশের ফোন, কাল দিল্লির দলীয় বৈঠকে থাকছেন রাহুল
উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর ও পানিসাগর মহকুমায় প্রায় ৪০হাজার ব্রু শরণার্থী রয়েছেন । এই সমস্যার সমাধান চায় ত্রিপুরা সরকার। তাই তাদের মিজোরামে ফিরিয়ে না দিয়ে ত্রিপুরাতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও ত্রিপুরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়ে সীলমোহর দিয়েছে। চারস্তরীয় চুক্তিও এই বিষয়ে সম্পাদিত হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় এই ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্যত্র ।
শরণার্থীরা নিজস্ব এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় পুনর্বাসনে রাজি না হওয়ায় সমস্যার সূত্রপাত। যদিও ত্রিপুরা সরকার সাতটি জায়গা নির্দিষ্ট করে সেখানে প্রায় ৫ হাজার শরণার্থীর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। আর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বাঙালি জনগোষ্ঠী ।
সম্প্রতি কাঞ্চনপুর যৌথ মঞ্চ ১২ ঘণ্টা বনধ পালন করেছে। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন অভিযোগ করেছেন, ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনে অযথা ঢিলেমি করছে ত্রিপুরা সরকার। করোনার প্রভাবে সেই প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত হচ্ছে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেই কাঞ্চনপুরে আন্দোলন শুরু হয়েছে । এদিকে আদালতের প্রধান বিচারপতি শুনানি চলাকালীন বলেছেন, শরণার্থীদের পূনর্বাসনের বিষয়টি সম্পূর্ণ সামাজিক এবং রাজনৈতিক ।সেখানে আদালতের কোনও ভূমিকা নেই ।তবে পুরো বিষয়টির ওপর আদালত নজর রাখছে।


































































































































