কবে থেকে শুরু হবে শিক্ষাবর্ষ। এই নিয়ে রবিবার উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, “সবদিক বিবেচনা করে ডিসেম্বর মাসের আগে শিক্ষাবর্ষ শুরু করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে যা আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানানো হবে।”
তাঁর কথায়, “ভাইফোঁটা, ছট পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর সহ একাধিক উৎসব রয়েছে নভেম্বর মাসে। আমাদের রাজ্যে পুজো জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়। এই উৎসব কাটিয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্যানিটাইজ করার পর শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে পারে। তবে শারীরিকভাবে কবে পড়ুয়ারা উপস্থিত হবে তা রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। ডিসেম্বরের আগে শিক্ষাবর্ষ শুরু করার সম্ভাবনা কম। এ বিষয়ে আমরা ইউজিসিকে জানাব।” তিনি জানিয়েছেন, স্কুল কোন পদ্ধতিতে খোলা যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে।
মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছেন। ইউজিসি-র তৈরি করা ওই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করতে হবে। পাশাপাশি ইউজিসি বলেছে, লেখাপড়ার ঘাটতি পূরণ করতে ৬ দিন ক্লাস হবে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরাজ্যে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্নাতক স্তরের ফল প্রকাশ হবে। সেক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর স্তরের ক্লাস নভেম্বরের প্রথমে শুরু করা সম্ভব না। স্বাভাবিকভাবেই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে। এদিন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিজেদের পড়ুয়াদের জন্য ৮০ শতাংশ আসন এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য ২০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন- কৃষিবিল নিয়ে ডেরেকের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসায় অকালি দল