
এক যুগ পর মায়ের সঙ্গে তীর্থক্ষেত্রে। আগে মাঝে মধ্যে বেরোতেন। বাইকে চাপিয়ে গ্রামের বাড়ি কুলিয়ানা থেকে দিঘা, পুরী ঘুরিয়েছেন। এবার একেবারে বৃন্দাবন।
সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অবিরাম টানাপোড়েনের মাঝে মা পুষ্পলতা ঘোষকে নিয়ে ঘুরে এলেন মথুরা-বৃন্দাবন। মাকে তীর্থক্ষেত্রে ঘুরিয়ে আনতে পেরে খুশি পুত্র দিলীপও।
কেন হঠাৎ মথুরা-বৃন্দাবন? দিলীপ বলছেন, এবার দিল্লিতে মা আমার সঙ্গে ছিলেন। আর প্রায় একটা গোটা দিন কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিও ছিল না। মাও দেখেননি শ্রীকৃষ্ণ স্মৃতিবিজড়ত তীর্থক্ষেত্র। তাই মাকে বৃন্দাবন-মথুরা ঘুরিয়ে আনার সুযোগটা ছাড়িনি।

কোথায় গেলেন? নন্দগাঁও, বরসানা মন্দির এবং বৃন্দাবন। এই বয়সে পাহাড়ের উপরে উঠতে একটু কষ্ট হলো, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের স্মৃতিবিজড়িত এই জায়গায় আসার পর পুষ্পলতাদেবীও যার পর নাই দারুন খুশি। শখ মিটিয়েছেন সাংসদ পুত্র। প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করেছেন ছেলেকে। দু-একটি ছবিও তুলেছেন। দিলীপ বলছেন, মায়ের সঙ্গে বৃন্দাবন-মথুরা ঘুরে আমিও দারুন ফ্রেশ। কৃষ্ণ আমার আইডল। প্রশ্ন হলো যদুকুলপতি কার না আদর্শ! নস্টালজিক দিলীপ।

সারা দিন কৃষ্ণভূমে ছিলেন। ফেরার সময় দলের জাতীয় কর্মসমিতিতে বাংলার তিন নেতার আসার খবর পেয়েছেন। সন্ধেয় বাড়িতে ফিরেই ফের বৈঠকে বসে গিয়েছেন। কিন্তু মনের মাঝে সুর তুলেই চলেছে সখী পরিবৃত শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবনের স্মৃতি।

আরও পড়ুন-রাহুল প্রসঙ্গে অনুপমের চায়ে চুমুক মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা