মর্মান্তিক ! বৎসোয়ানায় জলে ভয়ঙ্কর বিষ, মৃত্যু ৩৫০ হাতির

0
2

মে মাস থেকে শুরু হয়েছে এই মৃত্যুমিছিল।

প্রথম খবর আসে বৎসোয়ানার ওকাভাঙ্গো ব-দ্বীপ থেকে৷ স্থানীয় পরিবেশবিদরা প্রথম হাতি-মৃত্যুর হদিশ পান ।

এর পর জোয়ারের মতো হাতির মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করেছে।বৎসোয়ানায় ৩৫০-রও বেশি হাতির ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু প্রাণীবিদদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে দেশজুড়ে একের পর এক হাতির মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মারা যাওয়ার আগে প্রতিটি হাতিই বৃত্তাকার পথে ঘুরছিল। তার পর তাদের কয়েক জন মুখ থুবড়ে পড়ে মারা যায়। এমনিতেই অতিমারির প্রভাবে বদলাতে থাকা পৃথিবীর বুকে হাতির গণমৃত্যুকে ‘বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের দুর্যোগ’ বলে ব্যাখ্যা করছেন পরিবেশবিদদের একাংশ।
মে মাস শেষ হওয়ার আগেই মৃত্যু সংখ্যা পৌঁছে যায় ১৬৯-এ। জুনের মাঝামাঝি তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এবং এখনও মৃত্যুমিছিলে ছেদ পড়েনি।
কিন্তু এতদিন তার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। বেশ কয়েকটি তত্ত্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গবেষণা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অবশেষে হাতি-মৃত্যুর কারণ প্রকাশ্যে আনল বৎসোয়ানা প্রশাসন। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, জলে বিষক্রিয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। এই বিষের নাম সায়ানোব্যাকটেরিয়া। আদি যুগেও লক্ষ লক্ষ হাতির মৃত্যুর পিছনে এই ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা ছিল। প্রচণ্ড বিষাক্ত এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত জলাশয়ের একধারে থাকে। বিশ্ব উষ্ণায়ণের জেরে আফ্রিকাজুড়েই এখন এই সায়ানোব্যাকটেরিয়ার দাপট চলছে। তার জেরেই প্রাণ হারাতে হল সাড়ে ৩০০-রও বেশি হাতিকে।

আফ্রিকার দক্ষিণাংশের দেশ বৎসোয়ানা। দেশের প্রায় ৭০ ভাগই মরুভূমি। আফ্রিকার মোট হাতির এক-তৃতীয়াংশ রয়েছে বৎসোয়ানায়। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এক লক্ষ ৩০ হাজারের কাছাকাছি। বৎসোয়ানায় হাতির মৃত্যুমিছিল অবশ্য নতুন নয়। গত বছর অ্যানথ্রাক্সের কারণে বৎসোয়ানায় শতাধিক হাতি মারা গিয়েছিল। কিন্তু সায়ানোব্যাকটেরিয়ার কারণে সম্প্রতি একসঙ্গে এক হাতির মৃত্যু বিরল বলেই জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা।

আরও পড়ুন- গরিব মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে “দিদির রান্নাঘর”, ১০ টাকায় পেটপুরে খাবার