ডিজিকে লেখা চিঠির জবাবে রাজ্যপালকে ধুয়ে দিলেন মমতা

0
1

ফের পুলিশ প্রশাসনের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যের ডিজিপিকে ‘অপমানজনক’ কথা লেখার জন্য ন’পাতার চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদাধিকারী সম্পর্কে অপমানজনক ভাষা প্রয়োগ করার ঘটনায় শনিবার রাজ্যপালকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কড়া ভাষার এই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন সময়কার রায়, বি আর আম্বেদকরের উক্তি এবং সংবিধানের বিভিন্ন ধারা। সেই অনুযায়ী তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপালের সীমা কতটুকু আর রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা বা কী।

ডিজি তথা রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্যে যে তিনি ক্ষুব্ধ তা চিঠির ছত্রে ছত্রে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

শাসকদলের প্রতি পুলিশের আনুগত্য, কর্তব্য পালনে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আগেও সরব হয়েছেন ধনকড়।শুক্রবারই, পুলিশ প্রশাসনের কাজ নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। সেদিন তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। রাজ্যের দক্ষ পুলিশ আধিকারিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ বলে টুইটারে তোপ দাগেন রাজ্যপাল। ডিজির ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক বলে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মন্তব্য করেন তিনি।
এই ধরনের মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। ডিজিপি বীরেন্দ্রর পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে পাল্টা ৯ পাতার পত্রাঘাত করে মমতা।

মনে করিয়ে দেন, বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। নির্বাচিত প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জগদীপ ধনকড় মনোনীত পদে আসীন রাজ্যপাল। তাই সংবিধান মেনে কাজ করা উচিত তাঁর।
এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি লেখেন, প্রশাসনিক কাজে রাজ্যপালের অহেতুক ঢুকে পড়া কাম্য নয়। এই কড়া ভাষাতেই রাজ্য সরকার তথা পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে জগদীপ ধনকড়ের অভিযোগের জবাব দেন মমতা। তবে, এই ইস্যুতে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন- ১ অক্টোবর থেকে যাত্রা, নাটক, সিনেমা হল চালুর সবুজ সঙ্কেত মুখ্যমন্ত্রীর