করোনার ভ্যাকসিন ঠিক কাজ করবে এমন গ্যারান্টি দেওয়া যাচ্ছে না: আধানম

0
1

করোনা চিকিৎসায় ফের নেতিবাচক মন্তব্য হু-এর। করোনা রুখতে বিশ্বে যত ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে সেগুলি যে ঠিকঠাক কাজ করবে এমন গ্যারান্টি দেওয়াও যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন হু-র কর্তা ট্রেডস আধানম ঘেব্রেইসাস। বিশ্বজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনের সমবণ্টনের দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার, জেনেভায় একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে হু কর্তা দাবি করেন, সারা বিশ্বে কয়েকশো ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। তবে একটাও যে করোনা রুখতে ঠিকঠাক কাজ করবে তেমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ, নতুন ভ্যাকসিনের কিছু সত্যিই কার্যকরী হয়, কিছু একেবারেই ব্যর্থ। তাই যতক্ষণ না কার্যকারিতা মানবদেহে প্রমাণিত হচ্ছে ততক্ষণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।

করোনা রুখতে বিশ্বে ২০০ রকমের ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরি হয়েছে বলে জানান আধানম। তার কয়েকটি হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। হু-কর্তার মতে, যত বেশি রকমের ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হবে ততই বেশি কার্যকরিতা প্রমাণিত হবে। তাঁর মতে, ইতিহাসই সাক্ষী যে ভ্যাকসিন গবেষণায় একবারে পুরোপুরি সাফল্য আসেনি। নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছনো গিয়েছে।
এর আগে আধানম বলেন, ভ্যাকসিন এলেই যে করোনা নির্মূল হবে, এমন নিশ্চয়তা নেই।
বিশ্বে ভ্যাকসিন দৌড়ে এখন এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকা, আমেরিকার মোডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, চিনের তিন সংস্থা সিনোভ্যাক, ক্যানসিনো বায়োফার্ম ও সিনোফার্ম, ভারতের সেরাম, ভারত বায়োটেক, রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাকসিন। তাছাড়াও ইজরায়েল, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরবেও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। ব্রিটেন, আমেরিকা, চিন, রাশিয়া ও ভারত তাদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের তৃতীয় স্তরে রয়েছে। রাশিয়া তাদের স্পুটনিক টিকার প্রথম ইউনিট নিয়ে এসেছে। রাশিয়ার দ্বিতীয় টিকারও বৃহত্তর ট্রায়াল চলছে। চিনের তিন সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে টিকা নিয়ে আসার অনুমতিও পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই অবস্থাতেও কোনরকম সদর্থক নয় বরং নেতিবাচক মন্তব্য করছে হু।

আরও পড়ুন- দিল্লি হিংসার চার্জশিটে এবার সলমন খুরশিদ, বৃন্দা কারাতের নাম