টানা বৃষ্টিতে পরপর ধসে জেরবার শৈলশহর, বন্ধ জাতীয় সড়ক

0
2

তিনদিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টি পাহাড়ে। যার জেরে সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় ধস নামে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল সিকিমগামী জাতীয় সড়ক। সোমবার রাতে বন্ধ হয়ে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। প্রশাসনের তৎপরতা মঙ্গলবার রাত নাগাদ যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করা গেলেও, ওইদিনই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে, রাতে ফের ব্যাপক ধস নামে।
ওইদিনই কার্শিয়াং ধোবিখোলার রাস্তায় পাহাড় ভাঙা কাদা জলের স্রোত নামে। মঙ্গলবার রাতে প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে রম্ভির কাছে ২৯ মাইলে বড়সড় ধস নামে। এই ধসের ফলে শিলিগুড়ির সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বুধবার সকাল থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং যাওয়ার বিভিন্ন রাস্তায় পরের পর ধস নামে। কালিম্পং ও সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ২৯ মাইল ও শ্বেতী ঝোরার কাছে এখনও রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসনের তরফে ধস সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।
এদিকে ৩১ নং জাতীয় সড়কের সেবক কালীবাড়ির কাছে ধস নামায়, শিলিগুড়ির সঙ্গে অসম ও ডুয়ার্সের যোগাযোগ বন্ধ। গজলডোবা দিয়ে ঘুরপথে আসার রাস্তা থাকলেও, সব গাড়ি ওই রাস্তায় চলাচল করতে পারে না। রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে পাহাড়ি রাস্তার ওপর একটি ট্রাকও উল্টে পড়ার খবরও এসেছে।
দার্জিলিং শহরের পুর এলাকার পাঁচটি জায়গায় ধস নামে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৭ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিস্টার নিবেদিতা গ্রাম, হরিদাসহাট্টা, ইডেন হাসপাতাল, ওকডেন এলাকায় বেশ কিছু বাড়িঘরের পাশে মাটি ধসে, রাস্তা ভেঙেছে। দার্জিলিং শহর লাগোয়া রানিবান, সিংতাম চা বাগান এলাকায় প্রচুর বাড়ি, রাস্তার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সব মিলিয়ে জাতীয় সড়ক একেবারেই বন্ধ। বিপাকে পাহাড় ও সমতল উভয়েই। জরুরি প্রয়োজনে সিকিম ও কালিম্পং থেকে যাতায়াত করছে গাড়ি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরী জিটিএ’র ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম। ইতিমধ্যেই ত্রিপল সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার ৮টি ব্লকের ধসপ্রবণ এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।