কে এই ‘হামজা’? নাটের গুরুর খোঁজে মরিয়া তল্লাশি গোয়েন্দাদের

0
3

এর্নাকুলাম থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করত, এবং নির্দেশ দিত মুর্শিদ। তার হাত ধরেই বাকি সাত জন আল কায়েদায় নাম লিখিয়েছিল। প্রত্যেককে মগজ ধোলাই করত সেই। আর সেটা ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপ কলে।

প্রশ্ন হচ্ছে এই মুর্শিদকে রিক্রুট করল কে? ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে এদের কাছে নির্দেশ দিত ‘হামজা’ নামে শীর্ষ কর্তা। কে এই হামজা? যার নির্দেশ গোপনে আসত জঙ্গিদের কাছে। হামজা বলা হতো ওসামা বিন লাদেনকে। প্রশ্ন কে এই হামজা যার নির্দেশে বাংলা আর কেরলে ডেরা বেঁধেছিল জঙ্গিরা? ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সির কর্তাদের বক্তব্য, এই ব্যক্তি পাকিস্তানেও থাকতে পারে আবার ভারতেও থাকত পারে। তাই ফোন কলের সূত্র ধরে চলছে তাদের খোঁজ চলছে। সেটাই আপাতত গোয়েন্দাদের মাথা ব্যথার কারণ।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের মূল টার্গেট ছিল আগামী বছরে রাজ্যের ভোট। একদিকে যেমন প্রচার পর্বে সন্ত্রাস তৈরি করা তাদের লক্ষ্য ছিল, পাশাপাশি রাজ্যে তাদের লোককে যেনতেন প্রকারে জিতিয়ে আনা। এরফলে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা যেমন ছিল, তেমনি প্রশাসনে নিজেদের লোকজনকে ঢুকিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপের ভিত আরও মজবুত করাই লক্ষ্য ছিল।

এই ঘটনা রাজ্যে নিশ্চিতভাবে নিরাপত্তা আরও কঠোর হবে। সীমান্ত এলাকার উপর নজরদারি বাড়বে। এছাড়াও কেন্দ্র ও রাজ্যের গোয়েন্দারাও আগামী বছরের ভোটের সময়ে আরও সতর্ক থাকবেন, এ কথা বলাই বাহুল্য।