ফিরল খাগড়াগড়ের স্মৃতি, কেন মুর্শিদাবাদ ও কেরল ঘাঁটি?

0
4

আল কায়দার ঘটনা সামনে নিয়ে এলো খাগড়াগড় কিংবা বসিরহাটের ঘটনাক্রম। ৬ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল শুক্রবার। রবিবারও তার রেশ রয়ে গিয়েছে।

রিমোট কন্ট্রোলে কেরল থেকে জঙ্গি নেট ওয়ার্ক বা আল কায়েদার কাজ চালাত মুর্শেদ। লকডাউনের আগেই নিজের হাতে সংগঠন সাজাতে কেরল থেকে মুর্শিদাবাদ এসেছিল মুর্শেদ।

প্রশ্ন উঠেছে, কেন মুর্শিদাবাদ ও কেরলে ঘাঁটি গাড়ে জঙ্গিরা? গত কয়েক মাসে তিনটি জাল নোট চক্র ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদে। অভিযোগ নানা অনৈতিক কাজ চোখের সামনে দেখলেও রাজনৈতিক দলগুলি বিষয়গুলি এড়িয়ে যায় এই জেলায়। নীরবে-নিভৃতে কিছু পয়সাওয়ালা লোকজন জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল রয়েছেন বলেও অভিযোগ। আসলে সীমান্ত এলাকা হওয়ায় মুর্শিদাবাদকে বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা। একদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত৷ চট জলদি গা ঢাকা দেওয়া সম্ভব। আবার দু’দেশের ভাষা সংস্কৃতি এক হওয়ায় ভিড়ে মিশে গেলে আলাদা করা মুশকিল।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে যাওয়া বা ঘাঁটি গাড়া সহজ। সেই তুলনায় রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্থিতিশীল হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গকে সেফ টার্গেট বাছা হয়েছে।

একই কথা বলা যায় কেরল সম্পর্কেও। সমুদ্র তীরবর্তী রাজ্য। সেখানেও রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা রয়েছে। সেইসঙ্গে প্রয়োজনে গাঢাকা দিতেও সমুদ্র পথকে ব্যবহার করা যায়। ফলে দুই রাজ্য সেফ টার্গেট জঙ্গিদের কাছে।