নিজেদের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য ‘প্রোটেকটেড অ্যাপ’ ব্যবহার করত ধৃত আল কায়েদা জঙ্গিরা। এই অ্যাপ শুধু গ্রুপের কয়েকজনই ব্যবহার করতে পারে। আর এই অ্যাপে পাঠানো গোপন বার্তা থেকেই সন্ত্রাসী নির্দেশ যেত এই জঙ্গিদের কাছে।
কীভাবে এই অ্যাপ ব্যবহার করা হতো? গুগল প্লে স্টোরে গেলেই দেখা যাবে এই প্রোটেক্টেড অ্যাপ। এই অ্যাপে ঢুকতে লাগে আইডি এবং পাস ওয়ার্ড। কিন্তু একজনের কাছে এই দুটোই থাকত না। একজনের কাছে থাকত আইডি, আর একজনের কাছে পাস ওয়ার্ড। দুজন একসঙ্গে এসে এই অ্যাপ খুলতে একজন লিখত আইডি, অন্যজন পাস ওয়ার্ড৷ তবেই ঢুকতে পারত অ্যাপে। ফলে কোনও একজন যদি কোথাও হাত মিলিয়ে নেয়, বা ধরাও পড়ে, সে সরাসরি অ্যাপের উৎসস্থল দেখিয়ে দিতে পারবে না৷ শুধু তাই নয়, প্রত্যেকবার অ্যাপে ঢোকার জন্য আলাদা আইডি ও পাস ওয়ার্ড দেওয়া হতো। অর্থাৎ প্রত্যেকবার নতুন পাস ওয়ার্ড, আইডি।
একইসঙ্গে ধৃত ৯ জঙ্গি সাব এজেন্ট নিয়োগের কাজ করছিল। তারা কোথায় কোথায় জাল বিছিয়ে ছিল তার অনুসন্ধানে গোয়েন্দারা। অর্থাৎ মুর্শেদদের তৈরি করা স্লিপার সেলের খোঁজ চলছে। এছাড়াও এদের টেকনিক্যাল নেটওয়ার্ক তৈরিতে কারা সাহায্য করেছিল, সে সব তথ্য উদ্ধার করাই লক্ষ্য। আপাতত জেরা চলছে এনআইএ-র নেতৃত্বে। এছাড়া ‘হামজা’ বা নেতার কাছে পৌঁছতে গোয়েন্দারা আন্তর্জাতিক জঙ্গি লিঙ্কেরও সন্ধানে রয়েছে।