মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছের লোক বলে পরিচিত সুরেশ রায়না। কিন্তু আইপিএলে এসেও কোভিড পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ায় ধোনি যে ব্যাপক চটেছিলেন, সেটা এতদিনে সামনে এলো। চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক ধোনি তাঁর ক্ষোভের কথা রাখঢাখ না করেই জানিয়ে দিলেন। ১৩তম আইপিএলের প্রথম ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জিতে ধোনির সাফ কথা, ক্রিকেটার হিসাবে আমরা সমালোচনা করেই খালাস। কিন্তু এই আইপিএল সফল করার জন্য দারুন ব্যবস্থা করেছে বোর্ড। এগুলি অনেকগুলি কারণের উপর দাঁড়িয়ে। বলব, যথেষ্ট আশাপ্রদ এই উদ্যোগ।
আইপিএলের প্রথম ম্যাচে শনিবার চেন্নাই হারায় মুম্বইকে। ২০১৮ সাল থেকে একটি ম্যাচও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জেতেনি চেন্নাই। মুম্বই জিতেছে ৫টি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে জেতার পর ধোনি সুরেশ রায়না আর হরভজনকে ঘুরিয়ে এক হাত নেন। বললেন, আইসিসি অ্যাকাডেমিতে প্র্যাক্টিশ করা একটা দারুন অভিজ্ঞতা। টুর্নামেন্টে খেলতে গেলে এই প্র্যাক্টিশ বাধ্যতামূলক। এর সব কৃতিত্ব আয়োজকদের।
সুরেশ রায়না আইপিএল ছেড়ে দেশে ফেরার ব্যাপারে পরিবারের দুজনের মৃত্যুর কারণকে যুক্তি হিসাবে খাড়া করলেও পিছনে ছিল অন্য কারণ। আসলে সিএসকে দলের ১৩জন কোভিড পজিটিভ হওয়ার পরেই ভীত সুরেশ দেশে ফেরেন। অন্যদিকে হরভজন দেশে ফিরে বলেছিলেন, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করলে তবেই টুর্নামেন্টে খেলব। খেলোয়াড় এবং ২০০-৩০০ দর্শক সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পরেই খেলার প্রশ্ন আসে।
অধিনায়ক ধোনি পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। শুধু তিনি যে দলকে অটুট রেখেছেন তাই নয়, রায়না শেষ ১০ বছর চেন্নাইতে তিন নম্বর পজিশনে খেলেছেন। সেই জায়গায় বিকল্প এনে রায়নাকে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। ম্যাচ জিতে প্রমাণ করেছেন, রায়না না থাকলেও জেতা সম্ভব। কেউই অপরিহার্য নয়।


































































































































