পুরোহিতদের ভাতা ঘোষণার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি

0
3

এ রাজ্যে যাঁরা গরিব পুরোহিত, দরিদ্র সনাতনী ব্রাহ্মণ, হয়তো সারা বছর খুব বেশি পুজো পান না, আর্থিক সমস্যায় রয়েছেন, তাঁদের কথা মাথায় রেখে পুরোহিত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত ৮ হাজার পুরোহিতের যে তালিকা রাজ্য সরকার পেয়েছে, তাঁদের মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যাঁদের বাড়ি নেই তাঁদের বাংলার আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক মহলে বিজেপি-সহ বিরোধীরা সমালোচনার ঝড় তুললেও তাঁকে দু’হাত ভোরে আশীর্বাদ করেছেন সনাতন ব্রাহ্মণ সমাজ। ঠিক একইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর এমন মানবিক সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরপরই ইমাম-মোয়াজ্জেমদের জন্য ভাতা চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার চালু হতে চলেছে পুরোহিত ভাতা। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে প্রশংসা করে ত্বহা সিদ্দিকি বলেন, “ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা চালু করার পর পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার ফুরফুরা শরিফে এসেছিলেন। সে সময় আমি কয়েকজন পুরোহিতকেও আমন্ত্রণ করেছিলাম। তাঁরাও এখানে এসেছিলেন। তাঁদের সামনেই আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম, মুসলমানদের যেমন ওয়াকফ বোর্ড থেকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে, ঠিক একইভাবে হিন্দুভাইদের দেবত্ব সম্পত্তি থেকে যেন ভাতা চালু করা হয়। তখন আমার পাশে থাকা পুরোহিতরাও মুখ্যমন্ত্রীকে একই অনুরোধ করেন। এবং সকলের অনুরোধ রেখে মুখ্যমন্ত্রী আজ পুরোহিতের ভাতা চালু করেছেন। এমন সিদ্ধান্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর যেমন অসহায় পুরোহিতদের জন্য ভাতা ঘোষণা করেছেন, অন্যদিকে আবার যাঁদের বাড়িঘর নেই, তাঁদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটা মুখ্যমন্ত্রীর খুব সুন্দর একটা ঘোষণা।”

এরপর মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপকে যারা সমালোচনা করছেন তাঁদের উদ্দেশ্য পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি প্রশ্ন তুলে বলেন, “ওয়াকফ বোর্ড থেকে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা ঘোষণার পর অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। পুরোহিতদের ভাতা ঘোষণায় কি আমরা সমালোচনা করতে পারি? না আমরা সমালোচনা করবো না। কারণ, এটা একটা ভাল ও মহান উদ্যোগ।”

প্রসঙ্গত, পুজোর আগে থেকেই যাতে এই পুরোহিত ভাতা শুরু করা যেতে পারে, তা রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সনাতন ধর্মের অনেকেই অনুরোধ করেছেন, তাঁদের জন্য তীর্থস্থান গড়ে দেওয়ার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তীর্থস্থানের জন্য কোলাঘাটে জমি চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

আরও পড়ুন-দেখুন! নিজের আর স্ত্রীর কবর নিজেই কেটে রেখেছেন পীরজাদা