নয়াদিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল হল। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এর্নাকুলামের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার ৯ সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA.
এই ঘটনার পরই রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “পুলিশ বিদেশ থেকে আসা জঙ্গি, দুষ্কৃতীদের ধরতে পারছে না। অথচ বিজেপি কর্মীদের ধরে মামলা ঠুকে দিচ্ছে। বিজেপি করার অপরাধে সাধারণ মানুষদের নির্যাতন করছে।”
এরপরই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, “জঙ্গলমহলে মাওবাদী গতিবিধি যেমন তৃণমূল বাড়িয়ে তুলছে, তেমনই সারা রাজ্যে ইসলামিক টেররিস্টদের গতিবিধিও বাড়িয়ে তুলছে। আর এই দুই দলকে কাজে লাগিয়েই বিজেপি কার্যকর্তাদের খুন করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন- করোনা আবহের মাঝে আজ শুরু চ্যালেঞ্জের আইপিএল, সকলকে হারিয়ে দিলেন বিরাট
রাজ্যের সমালোচনা করে দীলিপের দাবি, “মুর্শিদাবাদ জেলা প্রথম থেকেই উত্তেজনা প্রবণ এবং ওখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দেশ-দুনিয়ার জঙ্গিরা ধরা পড়ছে। এ রাজ্যের যতগুলি ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে তার সঠিক কোনও তথ্যই সামনে আসেনি। সবকিছুই রাজ্য সরকারের নির্দেশে চেপে দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি ন্যাশনাল অ্যাক্টিভিটি বাংলা এবং কেরালায় চলছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও ২ হাজার কিলোমিটার যে বর্ডার এলাকা রয়েছে তার মধ্যে এখনও ১ হাজার কিলোমিটার বেড়া দেওয়া হয়নি। আগে সিপিএম সরকারও চাইত না বেড়া দেওয়া হোক, আর এখন তৃণমূল সরকারও চায় না বেড়া দিতে। কারণ, বেড়া দিলে ওপার থেকে অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গারা না আসলে তৃণমূল সরকারের ভোট ব্যাংকে তা জমা পড়বে না।”
এখানেই শেষ নয়। দিলীপ ঘোষের জোরালো অভিযোগ, “পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ওদেশে জামাতের মাধ্যমে নাশকতা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। পুরুলিয়া মাদ্রাসা থেকে পিংলা বিস্ফোরণ, কালিয়াচক, ধূলাগড়, খাগড়াগড়, এমনকি অতি সম্প্রতি নৈহাটির বিস্ফোরণ, সবের সাথেই জঙ্গি যোগ রয়েছে। কিন্তু কোনওটারই তথ্য সামনে আসেনি, সব চেপে দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদে আল-কায়দা! উদ্বিগ্ন অধীর






























































































































