৯ বছরের এক শিশুকে অপহরণ। মুক্তিপণ না পেয়ে খুন। এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান জেলার গলসির সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এদিকে অপহরণের দেড় দিন পর আজ, শুক্রবার ভোররাতে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল বর্ধমানের তৃণমূল নেতার সেই ৯ ছেলের হাত-পা বাঁধা দেহ। দেহটি উদ্ধারের পর পুলিশ তা ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
অপহরণ ও খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রামেরই বাসিন্দা সুব্রত মাঝি ওরফে বাদশা, মঙ্গলদীপ দলুই ওরফে বাবু ও জয়ন্ত বাগ ওরফে নিরঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুক্রবার সকালে ধৃতদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। কার্যত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তিনজনের বাড়ি।
উল্লেখ্য, সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বুদ্ধদেব দলুইয়ের ৯ বছরের শিশুপুত্র সন্দীপ দলুইকে অপহরণ করা হয়। বুধবার সাঁকো গ্রামে মনসা পুজো ছিল। বিকেলে পাড়াতে বাড়ির কাছেই সন্দীপ মনসা মন্দিরে যায়। তারপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধেয় গোটা পাড়ায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। কিন্তু কোথাও সন্দীপের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর শিশুটির বাবা বুদ্ধদেব দলুইয়ের মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা। ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরে মুক্তিপণের টাকার পরিমাণ কমানো হয়।
পরিবারের দাবি, দ্বিতীয় বার ফোন করে ৩ লক্ষ টাকা চায় অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় পুলিশকে জানালে শিশুকে খুন করা হবে। কিন্তু পরিবার গোটা বিষয়টি গলসি থানায় জানায়।
গলসি থানার পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এক সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার সাতসকালে ডিভিসির সেচ খালের জল থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় সন্দীপ দলুইয়ের নিথর দেহ। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীকাণ্ডে ৪ সদস্যের কমিটি গড়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হাইকোর্টের

































































































































