ধোঁকা! তাও কিনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে!
করোনা আক্রান্ত স্বামী আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন ভেবে যখন স্ত্রী নাকের জলে, চোখের জলে করছেন, তখন জানা গেল তাঁর গুণধর স্বামীর কীর্তি! বউকে করোনার নাম করে ভাঁওতা দিয়ে অন্যত্র প্রেমিকার সঙ্গে দিব্যি ঘর পেতেছেন তিনি। ঘটনা নভি মুম্বইয়ের তালোজার।
দিনটা ছিল ২১ জুলাই। স্বামীর ফোন এসেছিল স্ত্রীর কাছে। কাঁদো কাঁদো গলায় স্বামী বলেছিলেন, “ আমি করোনা পজিটিভ। আমার মৃত্যু আসন্ন।” ব্যাস ওইটুকুই। ফোন কেটে দিয়েছিলেন ২৮ বছরের স্বামী। তারপর ফোন সুইচ অফ।এদিকে, স্বামী ফোন না ধরায়, করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে তখন স্ত্রীর মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। দুশ্চিন্তায় একশেষ।বছর খানেক সবে বিয়ে হয়েছে। তার মধ্যেই কি বিধবা হতে হবে, ভেবে কেঁদে কেটে একসা স্ত্রী।
আরও খবর : বায়োপিকে অভিনয় করবেন হৃত্বিক! কী বললেন মহারাজ
এদিকে, এই ঘটনার পর দিনই ভাসি অঞ্চলে জামাইবাবুর বাইক, হেলমেট পড়ে থাকতে দেখেন শ্যালক। অফিসের কাগজপত্র ও ওয়ালেটও মেলে মটোরবাইক থেকে।এই খবর দিদিকে দিতেই তিনি ভয় পেয়ে যান। সকলেই ধরে নেন করোনা হওয়ায় আতঙ্কে বোধহয় আত্মহত্যাই করে ফেলেছেন যুবক।জামাইবাবুর খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ হন শ্যালক। নিখোঁজ ডায়েরি পেয়ে শুরু হয় খোঁজ।
তবে এটা ছিল ট্রেলার। পিকচার তো বাকি ছিল!
যুবক আত্মহত্যা করতে পারেন ভেবে সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজখবর করে পুলিশ। কিন্তু কোনও সূত্র মেলেনি প্রথমে। তদন্ত আরও এগোতে পুলিশ জানতে পারেন যুবক কোভিড আক্রান্ত নন। ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ।তাহলে স্ত্রীকে এ কথা বললেন কেন? যদি মজা করার জন্য বলবেন তাহলে বাইকে ফেলে বেপাত্তা কেন যুবক!
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যুবকের মোবাইল ফোনের লোকেশন খতিয়ে দেখা শুরু করে পুলিশ। জানতে পারে, ওই যুবক রয়েছেন ইন্দোরে। সিনিয়র ইন্সপেক্টর সঞ্জীব ধুমল, যুবকের সন্ধানে ইন্দোরে যান। তখনই জানা যায়, স্ত্রীকে ছেড়ে প্রেমিকাকে নিয়ে সংসার পেতেছেন তিনি। নাম ভাঁড়িয়ে ঘরও ভাড়া করেছেন। ওই যুবককে নভি মুম্বইতে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।
নাটকটা শুরু থেকেই ভালোই করেছিলেন যুবক। কিন্তু শেষরক্ষা না হওয়ায় এখন আর মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছেন না যুবক।
































































































































