অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে বৃহন্মুম্বই পুরসভার দ্বন্দ্ব অব্যাহত। এই আবহে এবার উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজকুমার হিরানিদের বেআইনি নির্মাণে ছাড়পত্র দিয়েছে বিএমসি। জানা গিয়েছে বিএমসি গোরেগাঁও পূর্বের সাতটি বাংলো যেখানে অমিতাভ বচ্চন, ওবেরয় রিয়্যালিটি, পঙ্কজ বলানি, হরেশ খান্ডেলওয়াল, সঞ্জয় ব্যাস, হরেশ জগতানির নির্মাণের প্ল্যানে অনিয়ম ধরা পড়েছে ৷ এই নিয়ে ২০১৬ সালে এমআরটিপি ৫৩ (১) ধারায় নোটিশ পাঠায় বৃহন্মুম্বই পুরসভা। তবে শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালে বেআইনি নির্মাণে বিএমসি ছাড়পত্র দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এরপরই বিএমসি- র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএমসি অন্য সেলেবদের ক্ষেত্রে এমন তৎপরতা দেখায়নি কেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অমিতাভ থেকে রাজকুমার হিরানিদের বেআইনি নির্মাণের বিষয় মাসের পর মাস ঝুলিয়ে রেখেছে বিএমসি। জানা গিয়েছে, আরটিআই কর্তা অনিল গজলানিকে সেই বিস্তারিত তালিকা পাঠানোও হয়েছে।
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। প্রয়াত অভিনেতা তদন্তে মুম্বই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এমনকী মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর বলেছেন অভিনেত্রী। এরপরই অভিনেত্রীর উপর বেজায় চটে যায় শিবসেনা। অভিনেত্রীকে মানালি থেকে মুম্বই ফিরতে নিষেধ করেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। সংঘাতের আবহে বুধবার মুম্বই পৌঁছন অভিনেত্রী। একদিনের নোটিশে কঙ্গনা রানাওয়াতের মুম্বইয়ের অফিস বেআইনি নির্মাণের জন্য ভাঙচুর করা হয়। বোম্বে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ শেষমেষ ভাঙচুর স্থগিত রাখে বিএমসি।
কঙ্গনার সাথে শিবসেনার সংঘাতের মধ্যেই বেআইনি নির্মাণ এর তথ্য উঠে এসেছে। আর তাকে ঘিরে সরব হয়েছেন কঙ্গনার সর্মথকরা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে অমিতাভ বচ্চনের বেআইনি নির্মাণে বাধা নেই এখানে কেন কঙ্গনার অফিস ভাঙচুর করা হলো? বেআইনি নির্মাণ শব্দকে তাহলে কয়েক জনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন নিয়ম প্রত্যেকের জন্য এক হবে না? বাকিরা কি ক্ষমতার বলে অন্যায় করে যেতে পারেন? অফিস তছনছ হওয়ার পরে কঙ্গনা বিএমসির কার্যকলাপ প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন : ড্রাগ নিতেন সারা আলি খান থেকে সিমন খাম্বাটা?এবার তাঁরাও জেরার মুখে



































































































































