আনন্দপুর থানা অঞ্চলের ঘটনায় আহত মহিলার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল কলকাতা পুলিশ। নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের তৎপরতায় গত শনিবার রাতে এক মহিলার সম্ভ্রম রক্ষা হয়। আর এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে টুইট করে রীতিমতো অভিনন্দন জানানো হয় ওই তেজস্বিনীকে। কলকাতা পুলিশের টুইটে আরও উল্লেখ করা হয় যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নীলাঞ্জনাদেবীর কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। কলকাতা পুলিশ তাকে সবরকম সহযোগিতা করবে এবং তার চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করবে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, যে তরুণীর শ্লীলতাহানি চেষ্টা করা হয়েছিল তার সঙ্গে অভিযুক্তের আলাপ হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সেই দিন রাতে ওই যুবকের সঙ্গে লংড্রাইভে গিয়েছিলেন তরুণী। ফেরার পথে তাকে বাড়ির রাস্তায় না নিয়ে গেলে তিনি চিৎকার করতে থাকেন এবং অভিযুক্ত তখন তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সেই সময় আনন্দপুর থেকে রুবির দিকে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন নীলাঞ্জনাদেবী। তিনি তরুণীর চিৎকার শুনে তাদের পথ আটকে দাঁড়ান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিধ্বস্ত তরুণীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয় এবং পথ আটকে দাঁড়ানো নীলাঞ্জনা দেবীর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় অভিযুক্ত যুবক। আহত নীলাঞ্জনাদেবী এবং তার স্বামী 100 ডায়াল করে পুলিশকে পুরো ঘটনা জানান।
তার স্বামী জানিয়েছেন , দ্রুত সেখানে এসে উপস্থিত হয় পুলিশ এবং তারাই অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আহত নীলাঞ্জনাদেবীকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। তার পায়ের হাড় গুঁড়ো হয়ে যাওয়ায় অপারেশন করা হয়। আপাতত তিনি সুস্থ আছেন।
































































































































